Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হুজিদের পরিকল্পনায় দেশজুড়ে ডাকাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০১৯, ০২:০৪ PM
আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯, ০৫:১৭ PM

bdmorning Image Preview
বিডিমর্নিং


ব্যাংক ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ হুজি সদস্যসহ ১৪ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা।

আজ সোমবার দুপুর ১২ টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি'র মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান ডিএমপি'র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোঃ আবদুল বাতেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, হাজিজ(হুজি),মামুনুর রশিদ (হুজি), ডাকাত  মোফাজ্জল হোসেন, মোঃ জহির উদ্দিন ভূইয়া, মোঃ আতিকুল রহমান, মোঃ মনিরুজ্জামান, লাড্ডু মোল্লা, কাইয়ুম শিকদার, আলাউদ্দিন শেখ, মুন্সি খসরুজ্জামান, মঃ জাহাঙ্গীর হাওলাদার, সুব্রত দাস, মিন্টু কর্মকার, অলিউল্লাহ হাওলাদার।

সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, গতকাল রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দাদের একটি টিম অভিযান চালিয়ে যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকা থেকে ব্যংক ডাকাতি প্রস্তুতিকালে ১২জন সদস্যকে আটক করে।

পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, ধোলাই পাড় মোড়স্থ পূবালী ব্যাংকে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা।  তাদের এই ডাকাতির জন্য অস্ত্র দিয়ে অন্য একটি গ্রুপ সাহায্য করছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে রামপুরা এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের ২ সদস্যকে আটক করে গোয়েন্দারা।

উক্ত অভিযানে ২ হুজি সদস্যসহ ১৪ জন আটকের পাশাপাশি, ১২ জিহাদি বই, ২টি ৯ এমএম পিস্তল,  ২ টা ৭.৫ এমে এম পিস্তল , ১টি একে -২২ বন্ধুকসহ মোট ৪১ রাউন্ড গুলি, ১০ কেজি গান পাউন্ডার, ৫ টি মুখোশ, ২টি ধারালো অস্ত্র এবং তালা ও রোড় কাটার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

এই ব্যাংক ডাকাতির সাথে হুজির কি সম্পর্ক? জানতে চাওয়া হলে ডিএমপি'র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোঃ আবদুল বাতেন জানান, খালিদ ও মামুনুর রশিদ মুলত হুজি সদস্য। তারা পুনরায় হরকাতুল জিহাদকে সংগঠিত করার জন্য কাশেম পুরে জেলে থাকা এই জঙ্গি সংগঠনের হোতা উজ্জ্বলের (ফাঁসির আসামি) নির্দেশে কাজ করছিল। আর অর্থ সংগ্রহের অংশ হিসাবে এই ডাকাত দলের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং তাদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে। শুধু অস্ত্র নয়, কোথায় , কখন ডাকাতি করতে হবে তাও বলে দিত এই হুজি সদস্যরা।  আর এর বিনিময়ে তাঁদের থেকে ৩০% অর্থ তারা বুঝে নিতেন।

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত এই হুজি সদস্যদের অস্ত্র ও প্যালিং এর উপরে ভিত্তি করে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ০৯টি ডাকাতি করেছেন।  ডাকাতি করা মোট অর্থের পরিমান প্রায় ৫ কোটি টাকা।

হুজিদের তো বিদেশ থেকে অর্থ আসে এ তথ্য আগে থেকেই জানা। তাহলে কেন তারা ডাকাতি করছে এমন প্রশ্নের উত্তরে সংবাদ সম্মেলন থেকে জানান হয়, আগে একটা সময় অর্থ আসত। কিন্তু বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোঠার নজর দারির কারণে জঙ্গি সংগঠন গুলো অর্থ আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

কিন্তু এই হুজিসহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্টির অনেকেই জেলে আছে এবং অনেকের নামে মামলা আছে। এই মামলা গুলো চালাবার জন্য অর্থ প্রয়োজন হয় এবং তাঁদের সংগঠন চালাবার জন্যও অর্থ দরকার হয়। এজন্য তারা ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে আর জানানো হয়, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা , ডাকাতি মামল , সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview