Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কিশোরীগঞ্জে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন 

মহিনুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০১৯, ১০:১৬ AM
আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯, ১০:১৬ AM

bdmorning Image Preview


উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছোট ভাই বিপ্লব কুমার সরকারের মারপিটে বড় ভাই তপন কুমার সরকার (৭০) নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট নামক স্থানে। নিহত তপন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

জানা যায়, আগামী ১০ মার্চ প্রথমধাপে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ওই উপজেলায়। সেখানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন। এদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুলের পক্ষে প্রচারণায় নামে তপন কুমার সরকার।

অপরদিকে, তপন কুমার সরকারের ছোট ভাই উপজেলা গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি বিপ্লব কুমার সরকার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র পদ প্রার্থী হয়েছেন।

বাহাগিলি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান দুলু জানান, তপন কুমার সরকারসহ রাতে আমরা বাহাগিলি ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট এলাকায় নৌকার পক্ষে মাইক্রোবাসে প্রচারণা  চালাচ্ছিলাম। এ সময় সেখানে চেয়ারম্যান মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপ্লব কুমার সরকার তার সমর্থকদেরসহ এসে আমাদের মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে তপন কুমারকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে তার পক্ষে কেন প্রচারণা করছে না বলে গালাগালি করেন।

এক পর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ছোট ভাই বিপ্লব বড় ভাইয়ের শরীরে কিল ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমরা আহত তপন কুমার সরকারকে দ্রুত উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে বিপ্লব কুমার সরকারের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার অসুস্থ বড় ভাইকে নৌকা প্রতীকের লোকজন জোড়পূর্বক বাড়ি হতে প্রচারণার জন্য নিয়ে আসে। বড় ভাই এমনিতেই হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। আমার ধারনা বড় ভাই মাইক্রোবাসে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। অথচ আমার প্রতিপক্ষরা এটিকে পুঁজি করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করছে।

উপজেলা সরকারী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাঃ সুজা শরীফ জেমস বলেন, আমরা রোগীকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। সেখানে চিকিৎসার কোন সুযোগ ছিল না। তবে তার শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি।

এদিকে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা পুলিশসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছুটে আসে।

কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি হারুন আর রশীদ জানান, মরদেহের সুরতহালে শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আমরা সরেজমিনে তদন্ত করেছি।

সোমবার (৪ মার্চ) জেলার মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রির্পোটের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ  করা হবে।  


 

Bootstrap Image Preview