Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে ভিড় না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ মার্চ ২০১৯, ০৭:৪৮ PM
আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯, ০৭:৪৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে অযথা ভিড় না করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার হাসপাতালে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

তিনি বলেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বাস্থ্য সম্পর্কে বলেছেন, ডাক্তাররা তার চিকিৎসা করছেন। হাসপাতালের ভেতরে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে না যাওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুরো নির্দেশনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যারা ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে আসবেন তাদের জন্য নিচে একটি খাতা-কলম রাখা আছে। সেখানে নিজের নাম লিখে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে হবে। ডাক্তাররা তাকে (ওবায়দুল কাদের) এক্সট্রা ট্রিটমেন্ট দিচ্ছেন, এজন্য একটা পরিবেশ দরকার। ডাক্তার বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার আগে কোনো কিছু বলা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে অযথা যেন কেউ ভিড় না করে। যারা সমবেদনা জানাতে আসবেন তারা যেন কেউ উপরে দোতলায় না যান। কাঠ ঝুলেও যেন কেউ ভেতরে না যায়।’

আবদুস সোবহান গোলাপ আরও বলেন, ‘সকালে ওবায়দুল কাদের ভর্তি হওয়ার পর থেকেই এখানে আছি। ডাক্তারি ভাষায় উনার অবস্থা সম্পর্কে বলতে পারবে না, তবে জেনারেল অবজারভেশন হচ্ছে-এটা বলতে পারি।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা উন্নতির দিকে, তবে তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. কনক কান্তি বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘কেউ ডাকলে তিনি অবশ্যই রেসপন্স করছেন। তার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর এনজিওগ্রাম করে রিং পরানো হয়েছে। বন্ধ হওয়া নালী দিয়ে ফের রক্ত চলাচল শুরু হয়েছে। তার যে রিপার্কুইশন ইনজুরি হয়েছে, সেটা থেকে বের হতে সময় লাগবে।’

ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানাতে রবিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বিএসএমএমইউতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে কার্ডিওলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আলী আহসান বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওবায়দুল কাদেরের হার্ট অ্যাটাক হয়। এ সময় তার বাসা থেকে আমাদের কাছে খবর পাঠানো হয়। আমাদের একজন চিকিৎসক উনার বাসায় যান। তিনি প্রাথমিকভাবে দেখার পর কার্ডিওলোজির আইসিইউতে নিয়ে আসেন। নিয়ে আসার পর তার শরীরে তেমন কোনও পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না। ইসিজি করতে করতে তার অবস্থা খরাপ হতে থাকে। তখন আমরা এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেই। এনজিওগ্রাম করে তার তিনটি রক্তনালীতে ব্লক পাই। আগে থেকে ডায়াবেটিসে তার অবস্থা খারাপ ছিল। যে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে তা ক্রিটিক্যাল। এগুলোর একটি ১০০ ভাগ, একটি ৯৯ ও একটি ৮০ ভাগ ব্লক। এর মধ্যে ৮০ ভাগের ব্লকটিতে রিং পরানো হয়েছে। অন্যদুটি ব্লক রয়েছে। রিং পরানোর পর দুই ঘণ্টা তার অবস্থা ভালোই ছিল। তারপর থেকে অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। ব্লাড প্রেসার কমে যেতে থাকে এবং ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়ে যেতে থাকে। তিনি চোখ খোলেন না এবং কথা বলেন না। ক্রিটিক্যাল স্টেজে চলে যান। এরপর তাকে আমরা আইএমপি যন্ত্র দিই। হেমোডাইনামিক স্ট্যাবিলিটি আমলে নিয়ে আমরা তাকে পরবর্তী থেরাপি দেবো বা বাইপাস সার্জারি করতে পারি। এটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা পার না হওয়া পর্যন্ত তার ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

Bootstrap Image Preview