Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মিনিটে মাত্র ৩০ বার হৃদস্পন্দন কাদেরের, আসছে ভারতীয় চিকিৎসক

রায়হান ও লায়ন, বিএসএমএমইউ থেকে
প্রকাশিত: ০৩ মার্চ ২০১৯, ০৫:১৩ PM
আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯, ০৫:২০ PM

bdmorning Image Preview
ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা জানতে বাহিরে অপেক্ষমান জনতা


চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মিনিটে মাত্র ৩০ বার হৃদস্পন্দন ওবায়দুল কাদেরের। তাকে নড়াচড়া করানো নিরাপদ নয় বলে ভারত থেকে চিকিৎসক আনার ব্যবস্থা করা হবে। আর প্রয়োজনে সিঙ্গাপুর থেকেও চিকিৎসক আনা হবে বলেও জানা গেছে।

এদিকে তার অবস্থা একটু উন্নতি হচ্ছে। প্রেসার এখন ৬০/৮৮ বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

হৃদরোগে আক্রান্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে রাজধানীর বিএসএমএমইউতে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রবিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি।

এর আগে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ‘জীবন শঙ্কায়’ থাকা ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজশাহী থেকে ঢাকায় ফিরে সরাসরি হাসপাতালে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী। বিকাল ৩টা ৩৩ মিনিটে বিএসএমএমইউতে পৌঁছেন সরকারপ্রধান।

এ সময় সেখানে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র সাঈদ খোকন, প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের কার্ডিওলজির অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসান জানিয়েছেন, সেতুমন্ত্রীর তিনটি রক্তনালীতে ব্লক ধরা পড়েছে, যার একটি স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উনার অবস্থা ওঠানামার মধ্যে আছে। দোয়া করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। যেহেতু উনি ভেন্টিলেশনে আছেন, সেহেতু উনি জীবনশঙ্কায় আছেন বলতে পারেন।

ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়ে বিএসএমএমইউর প্রোভিসি মো. শহীদুল্লাহ সিকদার জানান, উনার অবস্থা ক্রিটিক্যাল। আমরা তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছি। তার পরিবার ও প্রধানমন্ত্রী চাইলে তাকে বিদেশে পাঠানো যেতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ওবায়দুল কাদেরকে। উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সন্ধ্যা ৭টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়া আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শঙ্কামুক্ত নন। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) ২ নম্বর বেডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সকালে এনজিওগ্রামের পর ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। তার হার্টে রিং পরিয়ে একটি ব্লক সচল করা হয়েছে। পরে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। চিকিৎসকদের অনেকেই বলছেন- আগামী ২৪ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

হাসপাতালটির কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসান এনজিওগ্রামের প্রতিবেদন দেখে গণমাধ্যমকে বলেন, সেতুমন্ত্রীর এনজিওগ্রাম করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে একটি ওপেন করা হয়েছে। সকালের চেয়েও এখন শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে তার শারীরিক অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন, ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছুই বলা যাবে না।

এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেয়া হয়। সেখান থেকে জরুরি ভিত্তিতে তাকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে এনজিওগ্রাম শেষে ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।

সেতুমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, সকালে ফজরের নামাজ শেষে হঠাৎ করেই শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা অনুভব করেন মন্ত্রী মহোদয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসকরা তার মেডিকেল চেকআপ করেন। চেকআপ শেষে তাকে দ্রুত এনজিওগ্রাম করার পরামর্শ দেন। পরে এনজিওগ্রাম শেষে চিকিৎসকরা জানান তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে।

তার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর দোয়া চেয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার পরিবার।

Bootstrap Image Preview