সেনাবাহিনী ও বাঙালিদের নিয়ে মহান জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমার দেয়া বক্তব্যকে ঘিরে পাহাড় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বাঙালি সংগঠনগুলো বাসন্তী চাকমাকে উগ্র-সাম্প্রদায়িক আখ্যায়িত করে ও তার বক্তব্যকে অসাংবিধানিক মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও একটি বিশেষ মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্রের অংশ দাবি করে তা প্রত্যাহার, ক্ষমা প্রার্থনা ও সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের চেয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
শনিবার খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. মাঈন উদ্দীন।
এ সময় পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. লোকমান হোসেন, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাসুদ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পিবিসিপি সভাপতি মো. রবিউল হোসেন, পার্বত্য অধিকার ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি এসএম হেলাল উদ্দিন, পার্বত্য নারী অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক সালমা আহমেদ মৌসহ সংগঠন দুটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।বাসন্তী চাকমাকে পাহাড়ের আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাঙালিদের নিয়ে সংসদে দেয়া মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা ও তার অপসারণ করা না হলে আগামী রোববার (৩ মার্চ) খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা সংসদে নির্ধারিত স্বাগত বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত শতকরা ৫১ শতাংশ বাঙালি সম্প্রদায় ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে অপবাদমূলক, মিথ্যা ও বানোয়াট কল্পকাহিনি তুলে ধরেন। তার বক্তব্যের মূল অংশ ছিল উগ্র-সাম্প্রদায়িক। ১৯৯৬ সালের ১ মে নিয়ে সংসদে বাসন্তী চাকমা যে বক্তব্য রাখেন তা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা। তার কথার কোনো ভিত্তি নেই। সেদিন জেলার পানছড়িতে এরকম কোনো ঘটনায় ঘটেনি বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
অবিলম্বে বাসন্তী চাকমা কর্তৃক সেনাবাহিনী ও পার্বত্য বাঙালিদের নিয়ে সংসদে দেয়া মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা ও সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ না করলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলেও সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।