Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৬,৩০০ কোটি টাকা দিয়ে পাকিস্তানের একটি কাক মারল ভারত!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ মার্চ ২০১৯, ০৭:৫২ PM
আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯, ০৭:৫২ PM

bdmorning Image Preview


পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা চালিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশে-ই-মোহাম্মদের বড় একটি প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংসের দাবি করেছে ভারত। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে বলেছেন, অভিযানের জয়েশ-ই-মোহাম্মদের জঙ্গি প্রশিক্ষক, জ্যেষ্ঠ কমান্ডার-সহ অনেক জঙ্গি নিহত হয়েছে। এতে আত্মঘাতী মিশন পরিচালনাকারী গোষ্ঠীকেও ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, বালাকোটে অভিযানে প্রায় ৩০০ জঙ্গি নিহত হয়েছে।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ-ই-মোহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিতে শুধুমাত্র ১.‌৭ কোটি টাকার বোমা ব্যবহার করেছে ভারত। মোট ৬টি ১০০০ কেজির বোমা বর্ষণ করা হয়েছে মিরাজ ২০০০ থেকে। অন্ধকারে অব্যর্থ লক্ষ্যভেদের জন্য লেজার গাইডেড ১০০০ কেজির এক একটা বোমার দামই ৫৬ লাখ টাকা। বালাকোট, মুজফফরাবাদ, চোকটি তিনটি জায়গায় ২১ মিনিট ধরে চলেছে গোলা বর্ষণ। আর এই অভিযান সফল করতে ৬,৩০০ কোটি টাকার সম্পদ ব্যবহার করেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী।

ভারতের বিমান হামলায় পাকিস্তানের বালাকোটের পাহাড়বেষ্টিত জাবা গ্রামের বাসিন্দারা ওইদিন সকালে মাটিতে চারটি বিশাল গর্ত ও কিছু স্পিলিন্টার গাছে বিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। স্থানীয় সময় ভোর তিনটার দিকে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শুনলেও এছাড়া আর কোনো ক্ষয়ক্ষতির আলামত তারা পাননি।

এছাড়াও এই হামলায় একমাত্র আহত বাসিন্দা ৬২ বছর বয়সী নুরাহ শাহ। মঙ্গলবার ভোরে কেন তিনি কেঁপে উঠেছিলেন এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেন না। তবে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে তার মাটির তৈরি বাড়ি কেঁপে উঠে এবং ডান চোখের ওপরের দিকে সামান্য একটু কেটে যায়।

ভারত বলছে, তারা কিছু সন্ত্রাসীকে আঘাত করতে চেয়েছিল। কিন্তু এখানে আপনি কোনো সন্ত্রাসী দেখতে পাচ্ছেন কি- প্রশ্ন নুরাহ শাহর।

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোটের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জাবা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। নুরাহ শাহ বলেন, আমরা এখানে বসবাস করছি। আমরা কী সন্ত্রাসী?

জাবা গ্রামে পিকআপ ভ্যানের চালক আব্দুর রশীদ বলেন, বিস্ফোরণে সবকিছু কেঁপে উঠেছিল। তবে এতে কোনো মানুষ হতাহত হয়নি। কেউ মারা যায়নি। তবে বেশ কিছু পাইন গাছ ধ্বংস হয়েছে; সেগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। তবে একটি কাক মারা গেছে।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জাবা গ্রামের অন্তত ১৫ জনের সঙ্গে কথা বলেছে, তারা কেউ নুরাহ শাহ আহত হওয়া ছাড়া অন্য কোনো তথ্য জানেন না বলে জানিয়েছেন।

অন্যদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আব্দুর রশীদ বলেন, আমি কোনো মরদেহ দেখতে পাইনি। জানালার ভাঙা টুকরো অথবা অন্যকিছুর আঘাতে একজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন। জাবার বেসিক হেলথ ইউনিট হাসপাতালের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিদ্দিক মঙ্গলবার রাতে ডিউটি করেন। তিনিও হতাহতের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।

সিদ্দিক বলেন, এটা একটা মিথ্যাচার মাত্র। এটা নোংরামি। আমরা একজন আহত ব্যক্তিকেও পাইনি। শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি সামান্য আঘাত পেয়েছিলেন। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যদিও তাকে এখানে আনা হয়নি।

এদিকে পাহাড়বেষ্টিত জাবা গ্রাম বনাঞ্চলের জন্য পাকিস্তানি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় স্থান। অ্যাবোটাবাদ থেকে এই স্থানের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। ২০১১ সালে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে ওসামা বিন লাদেন অ্যাবোটাবাদে নিহত হন।

এই গ্রামে ৪০০ থেকে ৫০০ জন বসবাস করেন। পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে তৈরি মাটির ঘরে বসবাস তাদের।

এদিকে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বৃহস্পতিবার ভারতের জ্যেষ্ঠ এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বালাকোট অভিযানে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে আগের দেয়া তথ্যকে নাকচ করে দিয়েছেন।

দেশটির বিমানবাহিনীর প্রধান আর. জি. কে কাপুর হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে আগাম তথ্য দেয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন। তবে বিমান হামলায় জয়েশের ঘাঁটিতে ক্ষয়ক্ষতির বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বালাকোটে হতাহতের ব্যাপারে ভারতের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। তারা বলছে, ভারতের অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। একটি পার্বত্য অঞ্চলে ভারতীয় বিমান বোমা ফেলেছে। এতে কেউ আহত কিংবা নিহত হয়নি।

তবে নয়াদিল্লির এই দাবি আগামী নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে চাওয়া দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য কোনো ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে কি-না তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ইতোমধ্যে দেশটির বিরোধী দলগুলো ওই অভিযানের ফলাফলে তথ্য প্রকাশ করতে ক্ষমতাসীন সরকার ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে পাকিস্তান। এসময় ঢাকের তালে, ফুলের মালায় অভিনন্দনকে বরণ করে নেওয়া হয়।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পাকসেনার একটি কনভয়ে ওয়াঘায় পৌঁছান অভিনন্দন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য মতে, অভিনন্দনকে প্রথমে অমৃতসর এয়ারবেসে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে অভিনন্দনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে।

এর আগে শুক্রবার সকালে সড়ক পথে তাকে প্রথমে ইসলামাবাদ থেকে লাহৌরে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওয়াঘা-আতারি সীমান্তে পৌঁছে।

অভিনন্দনকে অভিনন্দন জানাতে সকাল থেকে ওয়াঘা সীমান্তে হাজির হয়েছেন কয়েকশো মানুষ। সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কখন ফিরিয়ে দেওয়া হবে অভিনন্দনকে।

৩৫ বছর বয়সী এই পাইলটকে বুধবার থেকে পাকিস্তানে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তার MiG-21 বাইসন যোদ্ধা জেট বিমান জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর জেটে আক্রমণ করেছিল।এরপর তাকে আটক করে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী।বহু নাটকীয়তার পর বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে দেশটির প্রধামন্ত্রী ইমরান খান অভিনন্দনকে ফেরত দেয়ার ঘোষণা দেন। এতে খুশির ফোয়ারা বইছে গোটা ভারত জুড়ে।

অভিনন্দনকে কিছুক্ষণের মধ্যে ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অমৃতসর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে আট্টারিতে তাকে স্বাগত জানাতে আজ ভোর ৬ টা থেকেই ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

বন্ধুদের সঙ্গে আট্টারিতে এসেছেন অমৃতসরের বাসিন্দা জিতেন্দর। তিনি বলেন, আমরা এখানে এসেছি আমাদের দেশের নায়ককে ঘরে স্বাগত জানাতে। আমরা আমাদের এই নায়ককে স্বাগত জানাই। তিনি বিমানবাহিনীর যুদ্ধে প্রভূত সাহস দেখিয়েছিলেন এবং পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়ার পরেও একটুও বিচলিত হননি।

এদিকে ছেলেকে গ্রহণ করতে ওয়াগা সীমান্তে অপেক্ষা করছেন তার বাবা-মা।

বৃহস্পতিবার সকালেই দিল্লি পৌঁছান অভিনন্দনের বাবা ভারতের বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল এস বর্তমান এবং মা শোভা বর্তমান । সেখান থেকে দুপুরে ওয়াগা সীমান্তে পৌছান তারা।

ছেলে মুক্তি পাবে এই সংবাদে বৃহস্পতিবারই বাবা-মা চেন্নাই থেকে দিল্লি রওনা হন। বিমানে যাত্রীরা এদিন উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি শুভেচ্ছা জানান অভিনন্দনের বাবা-মাকে। সঙ্গে ছিল শুভেচ্ছা বার্তাও। এতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি এস বর্তমান ও শোভা বর্তমানও। তাঁদের বিমানটি রাত ১টা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বুধবার এক বার্তায় তিনি বলেন, ‌'অভি জীবিত রয়েছে, আহত হয়নি, মনও চাঙ্গা রয়েছে! কী দুর্দান্ত সাহস নিয়ে কথা বলছনে একবার দেখুন... সত্যিকারের সৈনিক ... আমরা ওর জন্য গর্বিত।'

এদিকে ফেরত আনতে ভারতীয় বিমানবাহিনী বিমান পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে পাকিস্তান।পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রস্তাব খারিজ করে পাকিস্তান সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে সড়ক পথে ফেরানো হবে অভিনন্দনকে।

উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে ভারতে ফিরিয়ে আনার রাস্তা ছিল দুটি। তার মধ্যে একটি ওয়াগা আর অন্যটি আকাশপথ। ভারত চায়নি ওয়াগা দিয়ে ফিরুক অভিনন্দন। ভিড় এবং সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে আকাশপথে তাঁকে ফেরাতে চেয়েছিল ভারত। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি পাকিস্তান।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, অভিনন্দন বর্তমানকে যাতে ছেড়ে দেয়া হয় সেজন্য ইসলামাবাদের উপর চাপ তৈরি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব। এই অধ্যায়ের শুরু থেকেই ভারতের লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানকে চাপে ফেলা।তবে ভারত সরকারের তরফে এই খবরের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।তবে আমেরিকার ভূমিকা যে ছিল সেটা নিয়ে সন্দেহের তেমন কোনো অবকাশ নেই।

এদিকে অভিনন্দনকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে তাকে লাহোরে নেয়া হচ্ছে। ইসলামাবাদ থেকে লাহোর হয়ে ওয়াগাহ-আতারি সীমান্তে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই তাকে মুক্তি দেয়া হবে।

ইতিমধ্যে ভারতের সীমান্ত এলাকায় অভিনন্দনকে বরণ করে নিতে উৎসবের ফোয়ারা শুরু হয়ে গেছে। ভারতের তিন বাহিনীর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছেন এই আনন্দ উৎসবে।

দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আটক ভারতের পাইলটকে মুক্তি দিচ্ছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এমন ঘোষণা দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

পাইলটকে মুক্তির কারণ হিসেবে ইমরান খান বলেছেন, শান্তির বার্তা দিতেই ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। তবে তিনি এও হুশিয়ারি দেন যে, পাইলটের মুক্তির সিদ্ধান্তকে পাকিস্তানের দুর্বলতা ভাববেন না।

নিউজ এইটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ সন্ধ্যায় ওয়াগা সীমান্তে পাইলট অভিনন্দনকে গ্রহণ করবেন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা।

ছেলেকে গ্রহণ করতে বৃহস্পতিবার দিল্লি পৌঁছেছেন অভিনন্দনের বাবা-মা। অভিনন্দনের বাবা ভারতের বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারতীয় কমান্ডার অভিনন্দনকে ফেরালে যদি পাক-ভারত উত্তেজনা প্রশমিত হয়, তাতে আপত্তি নেই পাকিস্তানের। এ ব্যাপারে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলতে চান ইমরান খান।

মঙ্গলবার ভারতের বিমানবাহিনী পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে বিমান থেকে গোলাবর্ষণ করে। পর দিন সকালে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও এক পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান। পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, উত্তেজনা নিরসনে ভূমিকা রাখলে আমরা ভারতীয় পাইলটকে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত।

পরে পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, তিনি এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, আমি তাকে বলেছি যে, আমরা কোনো উত্তেজনা চাই না। তবে আমাদের এই ইচ্ছাকে দুর্বলতা ভাববেন না।

এর পর ইমরান খান বলেন, আমাদের কাছে একজন ভারতীয় পাইলট রয়েছেন। শান্তির নিদর্শন হিসেবে তাকে আমরা মুক্তি দিচ্ছি। সেই সময় পার্লামেন্ট সদস্যরাও তাকে সমর্থন দেন।

এদিকে অভিনন্দনকে আটক করার পর দুটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ পায়। এতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বলেন, আমরা দুই প্রতিবেশী শত্রু রাষ্ট্র হলেও পাকিস্তান সেনারা আমাকে আটকের পর চিকিৎসা দিয়েছেন। সম্মান করেছেন। পাক সেনারা খুবই ভদ্রলোক। আমি মনে করি পাকিস্তান সেনাদের কাছ থেকে আমাদের ব্যবহার শেখার আছে।

অভিনন্দন আরও বলেন, যারা পাকিস্তান সেনাদের বদনাম করেন তারা না জেনে করেন।

এ সময় পাকিস্তান সেনাদের এক সিনিয়র অফিসার বলেন, শত্রুদের প্রতি সদয় হওয়া, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা আল্লাহর রাসুলের নির্দেশ। পাকিস্তানের মুসলমান রাসুল (স.)-এর নির্দেশ পালন করছে মাত্র।

এছাড়া গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণে ভারতের ৪৪ সেনা নিহত হন। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করে। এর পরই প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

Bootstrap Image Preview