Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নিজ দেশে ফিরে যেসব সন্দেহের মুখে সেই ভারতীয় পাইলট

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ মার্চ ২০১৯, ০৭:২৩ PM
আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯, ০৭:৩১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


পাকিস্তানে আটক হওয়ার প্রায় আটচল্লিশ ঘণ্টা পর দেশে ফিরলেন ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। সেই উপলক্ষে উৎসবের আবহ দেশজুড়ে। অভিনন্দনকে স্বাগত জানাতে ওয়াঘা সীমান্তে ভিড় জমিয়েছিলেন জনে জনে মানুষ।

তবে দেশে ফিরলেও এখনই বাড়ি ফিরতে পারবেন না উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে জলন্ধরের সেনা হাসপাতালে। সেখানে চিকিত্সা করা হবে তাঁকে। পাকিস্তানে ৩ দিন ছিলেন অভিনন্দন। সেখানে অভিনন্দনকে নির্যাতন করা হতে পারে। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে বলে খবর বের হয়েছে। এরইসঙ্গে অভিনন্দনের শরীরে গোপন যন্ত্রাংশ প্রবেশ করিয়ে দিতে পারে শত্রু দেশ। সে কারণে মানসিক ও শারীরিকভাবে অভিনন্দনকে সবল করে তোলা হবে।

অভিনন্দনকে জেরা করতে আনা হতে পারে ইনটেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র) আধিকারিকদেরও। তবে সচরাচর পাইলটদের তাঁদের হাতে তুলে দেয় না বিমানবাহিনী। তাই অভিনন্দনের ক্ষেত্রে তা নাও হতে পারে।

পাকিস্তানে পা রাখা থেকে ওয়াঘা সীমান্ত পার করা, গোয়েন্দাদের প্রতি মুহুর্তের সবিস্তার বর্ণনা দিতে হবে অভিনন্দনকে। বন্দি অবস্থায় তাঁর কাছে কী কী জানতে চাওয়া হয়, তা জানাতে হবে তাঁকে।

শত্রুপক্ষের হাতে বন্দি ছিলেন অভিনন্দন। সেখানে তাঁর সঙ্গে কোনও গোপন রফা হয়নি তো পাকিস্তানের? তথ্য পাচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতে ফিরে আসেননি তো তিনি? দফায় দফায় জেরা করে তাও নিশ্চিত করবেন গোয়েন্দারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জেরা এবং ডাক্তারি পরীক্ষায় নিজেকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম প্রমাণ না করতে পারলে, আর কোনওদিনই হয়ত যুদ্ধবিমানের চালক হতে পারবেন না অভিনন্দন। সে ক্ষেত্রে ডেস্কের কাজে বসিয়ে দেওয়া হতে পারে তাঁকে। তবে তাঁর সঙ্গে কোনওরকম বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে না। খেয়াল রাখা হবে, কোনও পরিস্থিতিতেই তাঁকে যেন অসম্মানিত হতে না হয়।

বুধবার পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে তাড়া করতে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভেঙে পড়ে অভিনন্দন বর্তমানের মিগ-২১ বাইসন। প্যারাসুটে অক্ষত অবস্থায় নীচে নামেন উইং কমান্ডার। আটক অভিনন্দনতে ব্যবহার করে ভারতের সঙ্গে দর কষাকষি করার চেষ্টা করেছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানায়, কোনওরকম শর্ত দেওয়া চলবে না। জেনেভা চুক্তি মেনে মুক্তি দিতে হবে যুদ্ধবিমান চালককে। এরসঙ্গে বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে কূটনৈতিক চাপও তৈরি করে ভারত। একইসঙ্গে নয়াদিল্লি প্রমাণ তুলে দেখিয়ে দেয়, ভারতের আকাশে ঢুকে পড়েছিল পাকিস্তানি এফ-১৬। আর তাতে পাকিস্তান চলে যায় আরও ব্যাকফুটে। কোণঠাসা হয়ে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সংসদের যৌথ অধিবেশনে ইমরান খান ঘোষণা করতে বাধ্য হন, শান্তির লক্ষ্যে অভিনন্দন বর্তমানকে ফিরিয়ে দেবে পাকিস্তান।

Bootstrap Image Preview