Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সতর্ক সংকেত উপেক্ষা করে যাত্রীসহ ৪ জাহাজের সেন্টমার্টিন যাত্রা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৬:১৭ PM
আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৬:১৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


আবহাওয়ার পুর্বাভাসে সমুদ্রবন্দরগুলোকে যে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে তা অমান্য করে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে চারটি জাহাজ। এসব জাহাজে ঝুঁকি নিয়ে পাচঁ শতাধিক পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণে গেছেন।

কীভাবে জাহাজগুলো যাত্রী নিয়ে দ্বীপে গেল তার উত্তর কেউ দিতে পারেননি। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দ্বীপে আটকা পড়াদের ফেরত আনার জন্য যাত্রী ছাড়া জাহাজ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কোন জাহাজ দ্বীপে যাওয়ার সময় যাত্রী নিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, দ্বীপে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়া দেড় হাজার পর্যটককে ফেরত আনার জন্য আজ বৃহস্পতিবার সাড়ে ১২ টার পরে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে চারটি জাহাজকে খালি যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী এমভি আটলান্টিক ক্রুজ, বে-ক্রুজ, কেয়ারি সিন্দাবাদ, এলসিটি কাজল পর্যটকদের নিয়ে দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বিকেল সাড়ে ৩ টায় দ্বীপে পৌঁছে। এসব জাহাজে ৫ শতাধিক পর্যটক দ্বীপে গেছেন। পরে সেখান থেকে ৪টায় টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেয় জাহাজগুলো।

এদিকে বুধবার সতর্ক সংকেত থাকার কারণে এই রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে বেড়াতে এসে দেড় হাজারের মতো পর্যটক আটকা পড়েছেন।

বজ্রমেঘের ঘনঘটা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সমুদ্রবন্দরসমূহে সব ধরনের নৌযান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার আবহাওয়াবিদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, তিন নম্বার সতর্ক থাকা অবস্থায় যেকোনো ভাবেই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সকল নৌযান চলাচল বিপজ্জনক। এই রুটে কোন জাহাজ চলাচল করলে, যেকোন মুহূর্তে বড় ধরণের র্দুঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, স্থানীয় প্রশাসনের কথামতো দ্বীপে আটকা পর্যটকদের ফেরত আনার জন্য জাহাজ সেন্টমার্টিনে পাঠানো হয়েছে। তবে যাওয়ার সময় কোন যাত্রী বহন করা হয়নি।

দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের টেকনাফ ফিরে যেতে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরির্দশক সেকান্দর আলী। তিনি বলেন, 'অন্যদিনের চেয়ে দুই ঘণ্টা দেরিতে পর্যটকবাহী জাহাজগুলো টেকনাফ ঘাটে পৌঁছার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরির্দশক (পরিবহন) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘তিন নম্বার সতর্ক সংকত থাকায় দুঘর্টনা এড়াতে টেকনাফ-সেন্টমাটিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও কিভাবে পর্যটক বহন করে চারটি জাহাজ সেন্টমার্টিন গেল? বিষয়টি রহস্যজনক। প্রাথমিকভাবে শুনেছি জাহাজগুলো স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি স্বাপেক্ষে দ্বীপে গেছে। তবে যাওয়ার সময় যাত্রী পরেবহনের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, ' দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের ফেরত আনতে সেন্টমার্টিনে জাহাজগুলো গেছে। এসব জাহাজে পর্যটক রয়েছে, তবে অন্যদিনের তুলনায় সংখ্যায় অনেক কম।’

টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, টেকনাফ থেকে খালি জাহাজ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কোন জাহাজ যাওয়ার সময় যদি চুরি করে যাত্রী বহন করে, তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগামীকাল শুক্রবারও এই রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

Bootstrap Image Preview