চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে আসাবিক ভবন থেকে কেমিক্যাল গোডাউন উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকার ইসলামবাগে আবাসিক ভবনে কেমিক্যালের গোডাউন রাখার অভিযোগে ৭টি বাসার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এসব বাসা থেকে নিজ উদ্যোগে কেমিক্যালের গোডাউন সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। রবিবার এসব বাড়িতে আবারও অভিযান চালাবে সিটি কর্পোরেশন। যদি ওইদিন এগুলো পাওয়া যায় তবে মালিকদের আটক করা হবে।
গত রবিবারের অভিযানে ইসলামবাগের ১২/১১ নম্বর ফরিদের বাসা, ১২/৪ নম্বর, ৭০/৩, ৭৪/২, ৭৫/২ আবুল হাসনাত টুটুলের বাড়ি, ১০/১/এ নম্বর বুলবুল হাজীর বাড়ি, ১৫/১ দীল মোহাম্মদের বাড়ি, ৪২/৪/এ মুজিবর রহমানের বাড়ির গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এসব ভবনের নিচতলায় কেমিক্যালের গোডাউন পাওয়া যায়। অভিযানের সময় বাড়ির মালিক বা কারখানা ও গোডাউনের মালিকদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তাদের প্রতিনিধিরা দাবি করেন, এগুলো প্লাস্টিকের দানার কারখানা।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ খান বলেন, গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠক থেকে আবাসিক ভবনের কেমিক্যাল গোডাউন আপাতত সরিয়ে রাখতে দুটি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সবাইকে নিজ উদ্যোগে আবাসিক ভবন থেকে কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর করতে মাইকিংও করা হয়েছে। সে ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকে এই অভিযান শুরু করা হয়। যেসব বাসায় গোডাউন পাওয়া গেছে সেগুলো ইউটিলিটি সার্ভিসসমূহ (গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি) বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা কোনো বাসার মালিককে খুঁজে পাইনি। তবে আমরা মালিকদের মেসেজ দিয়ে এসেছি যে, নিজ উদ্যোগে রবিবারের মধ্যে গোডাউন খালি করতে হবে। আমরা রবিবার আবার আসব। তখন যদি গোডাউনে কেমিক্যাল পাই তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।