কাশ্মীর বিষয়ে পাক-ভারত উত্তেজনায় ভারতবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষকরে পাকিস্তানের বালাকোটে বিমানবাহিনী পাঠিয়ে অভিযান চালানোর বিষয়ে মোদিকে একেকভাবে প্রশংসা করছেন ভারতীয়রা।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া এলাকায় বালাকোটের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় বিমানবাহিনী বোমাবর্ষণ করে। এ হামলায় কাশ্মীরের ২০০-৩০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করে ভারতীয় পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর এমন অভিযানে বলি সেলিব্রেটিরাসহ অনেকেই প্রশংসা করেছেন। তারা নরেন্দ্র মোদির স্তুতি গাইছেন।এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে মোদির ছবিতে চুমু খাওয়ার একটি ভিডিও।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওটিতে দেখা গেছে, ভারতীয় ট্রেনে লাগানো মোদির একটি ছবিতে চুমু খাচ্ছেন এক নারী। যখন তিনি দেখলেন তাকে রেকর্ড করা হচ্ছে, তখন হাসতে হাসতে চলে যান সেই নারী।
ভিডিওটি টুইটারে প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, ‘এমনও হয়!’ ভিডিওটিতে জমা পড়েছে অনেক ইতিবাচক কমেন্ট। বিজেপি সমর্থকরা এ ভিডিও শেয়ার করে মোদির প্রশংসা করছেন।
মোদির এক সমর্থক লিখেছেন, ‘এরমানেই বোঝা গেল কীভাবে মানুষের মন জয় করা যায়।’
তবে চুপ থাকেননি কংগ্রেস সমর্থকরাও।
তারা ওই ভিডিওটির পর ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধীর একটি চুমুর ভিডিও। সেখানে অনেকে লিখেছেন- ‘এমনটা আগেই হয়ে গেছে’ এবং এমন সমর্থক আমরা আগে কখনও দেখিনি’।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে ভয়াবহ বোমা হামলায় ৪৪ জওয়ান নিহত হন।
এ হামলায় পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত রয়েছে বলে অভিযোগ আনে ভারত। ভারতের এ অভিযোগ পাকিস্তান প্রত্যাখ্যান করার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইতিমধ্যে কাশ্মীর সীমান্তে হামালা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেসব হামলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া দুই দেশের নাগরিকরা পরস্পরদের সমালোচনা করছেন।
তবে কোনোরকম যুদ্ধ চাইছেন না সাধারণ নাগারিকরা। ইতিমধ্যে বুধবার পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধবিরোধী প্রচারণা শুরু হয়েছে।
‘#সে নো টু ওয়ার’ হ্যাশট্যাগে শুরু হয়েছে এই প্রচারণাটি।