প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেয়া দুই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও ৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা তাদের প্রচারণায় উপজেলার সর্বত্র পোস্টারে ছেয়ে ফেলেছিলো। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে তা আর নেই।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার কোথাও কোন প্রার্থীর পোস্টার টানানো দেখা যায়নি। শুধু গাছের বা বৈদ্যুতিক খুঁটির এ-পাশ থেকে ও-পাশ পর্যন্ত দড়ি ঝুলছে। সেখানে নেই কোন পোস্টার।
মঙ্গলবার বিকেলে সব পোস্টার মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে মাত্র আধা ঘণ্টার বাতাসসহ মাঝারি বৃষ্টি। এর ফলে প্রার্থীরা আর্থিকভাবে দারুণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কিন্তু মাঝখানে লাভের অংক হিসেব খাতায় জমা করার অপেক্ষা করছেন প্রিন্টিং প্রেস মালিকরা।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য-জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচারণা বিধিমালা অনুযায়ী দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে পোস্টার টানানো হয়েছিলো। কিন্তু বৃষ্টিতে সব বিলীন হয়ে গেছে। তবে তিনি বলেন, আমার প্রতীক নৌকা। যে প্রতীক সব মানুষের অন্তরে গাঁথা রয়েছে। সেটা কোনভাবে বিলীন হওয়ার নয়।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু বলেন, এমনিতেই নির্বাচনী ব্যয় সামাল দেয়া কঠিন। সেখানে বৃষ্টির কারণে শতভাগ পোস্টার নষ্ট হওয়ায় দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আতাউর রহমান আতা বলেন, আমি আমার চশমা প্রতীকের ৫০ হাজার পোস্টার ছাপিয়েছি। উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাটে নিজের পোস্টার দেখে আমি আনন্দিত হতাম। কিন্তু আজ চারিদিকে তাকালে বুকে কষ্ট অনুভব করি। চারিদিকে দড়ি টানানো দেখি কিন্তু কোথাও আমার একটি পোস্টারও নেই।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী জানান, বৃষ্টিতে পোস্টার নষ্ট হওয়ায় প্রার্থীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা যাচাই করে পরবর্তীতে প্রার্থীরা পোস্টার লাগালে পরবর্তী ক্ষতি থেকে প্রার্থীরা রেহাই পেতে পারেন। তবে বৃষ্টি থেকে পোস্টার রক্ষা করতে দেয়াল বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের সেডের নীচে বা টিনের চালার নীচে দড়ি দিয়ে পোস্টার লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।