বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের কক্সবাজারে অবস্থানরত ৫ লাখ রোহিঙ্গা শিশু রাষ্ট্রহীন শরণার্থী অবস্থায় রয়েছে। তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন, হতাশা ও নৈরাশ্যের ঝুঁকিতে আছে।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা ক্রাইসিস নামক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মানবিক দূত আহমেদ আল মেরাইকি সংগে কক্সবাজারে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারির দু'দিনের মিশন শেষে তিনি বলেন, বইশিক সমাজ হিসেবে আমাদের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা অপরিমেয়। যেসব শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীকে বিশ্ব 'রাষ্ট্রহীন' বলে আখ্যায়িত করেছে তাদের নিজেদের সুন্দর জীবন গঠনে শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারে তাদের কোনো আইনি পরিচয় বা নাগরিকত্ব নেই৷ বাংলাদেশেও শিশুদের জন্মনিবন্ধন করা হচ্ছে না, তাদের বৈধ পরিচয় নেই। যারা মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার যোগ্য, তাদের জন্য মিয়ানমার পরিস্থিতি যতক্ষণ পর্যন্ত অনুকূল না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শিশুরা রাষ্ট্রহীন সংখ্যালঘু অবস্থায় থাকবে।
এর ফলে এই শিশুরা আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাঠ্যসূচি গ্রহণের বাইরে থাকছে এবং তাদের বিপণন যোগ্য দক্ষতা অর্জিত হচ্ছে না৷
এ বিষয়ে ড. আর মেরাইকি বলেন, এই প্রজন্মের রোহিঙ্গাদের পেছনে বিনিয়োগের জন্য আমাদের এ মুহুর্তে সম্মিলিতভাবে সম্মত হতে হবে। যাতে তারা আজ তাদের জীবনকে আরো ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারে এবং তারা যখন মিয়ানমারে ফিরে যেতে সক্ষম হবে তখন যেন তারা সেখানকার সামাজিক পুনর্নিমাণে গঠনমূলক অংশ হতে পারে।
বর্তমানে আইনি পরিচয় ব্যতীত তারা পাচারকারী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের অনুকম্পায় রয়েছে।