Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে আমের মুকুলের সাথে ঝরে গেছে কৃষকের স্বপ্ন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:৩০ PM
আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:৩০ PM

bdmorning Image Preview


সাতক্ষীরার তালা-কলারোয়ায় মৌসুমের প্রথম ঝড়-বৃষ্টিতে আম চাষিদের মাথায় হাত উঠছে। গত দু'দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের সাথে ঝড় ও হালকা শিলা বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ গাছের মুকুল ঝড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।

গত সোমবার ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বৃষ্টি ও ঝড়  সাথে হালকা শিলাবৃষ্টি স্থায়ী হয়। এ সময় বজ্রপাতও হয়েছে। আবার মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে ৯টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত ও দুপর ১২টা ৫৫ মিনিট থেকে ১ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দমকা ঝড় ও বৃষ্টি হয়। 

এছাড়া সারাদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। এতে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আর বৃষ্টি শুরুর পর থেকেই পুরো উপজেলার এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ত্রুটি দেখা যায়। যা স্বাভাবিক হতে লাগবে অনেকটা সময়।  

এদিকে শিলাবৃষ্টির আঘাতে তালার গোপালপুর, মুহান্দী, সুজনশাহা, তেতুলিয়া, নগরঘাটা, খলিলনগর, মাগুরা ও জাতপুর অঞ্চলে এবং কলারোয়ার ছলিমপুর, খোদ্দ, যুগিখালী, বামনখালী, বৌদ্দীপুরসহ অনেক অঞ্চালে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে মুকুল ঝরে পড়েছে। তবে আমের মুকুলের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা না গেলেও এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় আম চাষী হৃদয় আইচ জানান, গত ২ দিনের বৃষ্টি, ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আঘাতে আমের মুকুল ঝরে পড়ায় চরম লোকসান গুণতে হবে আমাদের। আম গাছে মুকুল যে পরিমাণ এসেছিল, তাতে অন্যান্য বছরের লোকসান অনেকটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির কারণে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। 

এই বৃষ্টিতে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক জুলফিকার আলী।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে তালা উপজেলায় ৭০৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল যা এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৭৫০ হেক্টর জমিতে। 

সূত্র আরও জানা যায়, তালায় ১৪৫০টি আমের বাগান ছিল এবার বাগানের সংখ্যা আরও বেশি। বাগানে আমের মুকুল দেখে খুশিতে মন ভরে গিয়েছিল। মনে অনেক স্বপ্ন জেগেছিল। কিন্তু অসময়ের শিলাবৃষ্টিতে আমের মুকুলের সাথে ঝরে গেছে সেই স্বপ্ন।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানান, শিলাবৃষ্টি ও হালকা ঝড়ো বাতাসে আমের মুকুলের পাশাপাশি গম, ডাল, সরিষা, নাবিজাতের আলুর ক্ষতি হয়েছে। তবে এ বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য আশীর্বাদ। শিলা বৃষ্টির কারণে আমের মুকুল শতকরা ৩৫ ভাগ নষ্ট হয়েছে।

Bootstrap Image Preview