Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভাতিজাকে খুনের দায়ে আটক চাচা

জামালপুর প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৬:০৫ PM
আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৬:০৫ PM

bdmorning Image Preview


জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভাতিজাকে হত্যা ঘটনার ৮ ঘন্টার মধ্যেই খুনি সোহেল কামারকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের জিরোপয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় সোহেল কামারের হামলায় ওসি তদন্ত, ৩ এসআই, ১ এএসআইসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চাঁপারকোনা গ্রামের মনছুর আলীর সাথে সোহেল কামারের পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ভাতিজা সিয়াম কে (৮) সোহেল কামার ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ছুরি দিয়ে গলা কেটে খুন করে।

ওইদিন রাতেই সিয়ামের পিতা মনছুর আলী বাদি হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ খুনিকে গ্রেফতারে তৎপর হয়ে উঠে।

সোমবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জোয়াহের হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ডোয়াইল ইউনিয়নের জিরোপয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালায়। সোহেল কামার পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাকে জাপটে ধরে আটকের চেষ্টা করলে সোহেল কামার ধারালো ছুরি দিয়ে পুলিশের উপর এলোপাথারি আঘাত করে পালানো চেষ্টা করে।

এ সময় সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জোয়াহের হোসেন (৫৫), এসআই ইমান আলী (৩৫), এসআই আশরাফ আলী (৩৮), এসআই আরিফুল ইসলাম (৩০), এএসআই এনামুল (৪২), কনষ্টেবল ফরহাদ (৩৬) ও নূর ইসলাম আহত হয়। পুলিশ পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে শর্টগান দিয়ে গুলি করে। ফলে সোহেল কামার গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় তাকে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় এবং আহত পুলিশ সদস্যরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

হত্যা মামলা দায়েরের ৫/৬ ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে পুলিশ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হওয়ায় এলাকায় স্বস্থি নেমে আসে।

উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় চাঁপারকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্র সিয়াম প্রাইভেট পড়তে গেলে চাচা সোহেল কামার তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। সিয়ামের ছোট বোন মীম ঘটনা দেখে চিৎকার করলে তাকেও ওই ছুরি দিয়েই হত্যার চেষ্টা করে।

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাজেদুর রহমান জানান, ভাতিজা সিয়াম হত্যার আসামি গুলিবিদ্ধ সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে আমার ওসি তদন্ত, ৩ এসআইসহ ৭জন আহত হয়।  

Bootstrap Image Preview