Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্মাণ কাজ চলমান থাকাবস্থায় ব্রিজে ফাটল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:২৬ PM
আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:২৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের বেপারিপাড়া ব্রিজটি বন্দরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। ব্রিজটি দৈর্ঘ্যে মাত্র ২০ মিটার। জাইকার অর্থায়নে দুই বছর আগে পুরনো ব্রিজ ভেঙে সেখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ শুরু করে নাসিক। কিন্তু ক্ষুদ্র ব্রিজটির নির্মাণ কাজ দীর্ঘ দুই বছরেও শেষ করা যায়নি।উপরন্তু নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় ব্রিজে দেখা দিয়েছে অসংখ্য ফাটল। ঠিকাদারের দুর্নীতি, নিুমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, নির্মাণ কাজে ধীরগতি, সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি এবং মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় যেনতেনভাবে ব্রিজের কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসী জানান, ব্রিজ নির্মাণ শুরুতেই ঠিকাদারের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি চোখে পড়ে। ব্রিজ নির্মাণে ব্যবহার করা হয় নিুমানের রড ও সিমেন্ট। এর ফলে বর্তমানে বিজের বিভিন্ন স্থানে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বের কার্পেটিং না তুলে বালু ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে অ্যাপ্রোচ রোড।

সরেজমিন দেখা যায়, ব্রিজ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে সংযোগ সড়ক ও সাইড দেয়াল নির্মাণ চলছে। ব্রিজের ফাটল চোখে পড়ে। পরে ফাটলগুলো আস্তর করে ঢেকে ফেলা হয়। ব্রিজের ঠিকাদারের প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, ব্রিজে সিলিকন পাথরের কণা দিয়ে দেড় ইঞ্চি ওয়ারিং কোর্স ঢালাই দেয়া হয়েছে। সেখানে হালকা চুলের মতো ফাটল ধরেছে। এটা বড় কোনো সমস্যা নয়। অনেক ব্রিজেই এমন ফাটল রয়েছে।

তিনি বলেন, মূল ব্রিজ ঠিক আছে। ব্রিজের গার্ডার বা স্লাবে কোনো ফাটল ধরেনি। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যে হালকা আস্তর দেয়া হয়েছে তাতে একটু ফাটল ধরেছে। আবার আস্তর করলে ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার গিয়াসউদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি সিডিউল অনুযায়ী কাজ করেছেন, নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এক মাসের মধ্যে ব্রিজটি চলাচলের উপযোগী হবে। কোনো অনিয়ম কিংবা গাফিলতি হয়নি। কাজ শতভাগ ভালো হয়েছে।

তিনি বলেন, ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর বিদ্যুৎ-ওয়াসা-গ্যাস লাইন সরাতে সময় লেগেছে ৭ মাস। এছাড়া পুরনো ব্রিজ ভাঙতে অনেক সময় পার হয়ে গেছে। এ কারণে মাত্র ২০ মিটার ব্রিজ নির্মাণে দেড় বছর লেগেছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।

Bootstrap Image Preview