Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেশের বিচার বিভাগকে তথ্য-প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৪:৫০ PM
আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৪:৫০ PM

bdmorning Image Preview


আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগের আসল উদ্দেশ্য হলো বিচারপ্রার্থী জনগণের কাছে তড়িৎ বিচার পৌঁছে দেওয়া। আমরা যদি তা না পারি কিংবা সুষ্ঠু বিচার করতে না পারি তাহলে সেটা হবে বিচার বিভাগের ব্যর্থতা।

তিনি বলেন, এটি হলে জনগণ বিচার বিভাগের কাছে আসবে না এবং স্ট্রিট জাস্টিস প্রথা চালু হয়ে যাবে। যেটা জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার আমলে চালু হয়েছিল। কারণ ওনারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে একটি এফআইআরও করতে দেননি।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন সলিসিটর অনুবিভাগে ই-ফাইলিং সেবা কার্যাক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির যে বিস্তার তার সাথে আজ সলিসিটর অনুবিভাগ সংযুক্ত হলো। প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত না হলে আমরা অনেক পিছিয়ে থাকতাম এবং পিছিয়ে থাকলে আমাদের যে আসল উদ্দেশ্য সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো না।

তিনি বলেন, সারাদেশের বিচার বিভাগকে তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে। এজন্য ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।  

আইন মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের ওপর ন্যায়বিচার প্রদান নির্ভর করে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ই-জুডিশিয়ারির একটা ধাপ ‘ই-ফাইলিং’ চালু হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় খুব ধীর গতিতে এই প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে এই কারণে যে, আইনের বিষয়গুলো সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারবো কি না, সেটা আগে আমাদের শিখতে হবে। আমাদের হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এগুচ্ছি।’

প্রযুক্তির কিছু বিড়ম্বনাও আছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, সেই কারণে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে এগুতে হবে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির অপরাধ ঠেকানো ও সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।

একমাসের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস ও সলিসিটর অফিস সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।

এর আগে আইনমন্ত্রী ই-ফাইলিং পদ্ধতি উদ্বোধন করেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের লক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সলিসিটর জেসমিন আরা, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম-সচিব বিকাশ কুমার সাহাসহ অনেকেই।

এর আগে আজ সকালে সচিবালয়ে নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নরের ২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ডে’-এর ঘোষণাপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১০০ শতাংশ সরকারি আইন কর্মকর্তা (পিপি/ জিপি) নিয়োগ করা হয় রাজনৈতিক কোটায়। সরকার প্রাথমিকভাবে ৩০ শতাংশ আইন কর্মকর্তা বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের চিন্তাভাবনা করছে। বাকি ৭০ শতাংশ নিয়োগ করা হবে রাজনৈতিক কোটায়।

তিনি আরও বলেন, ‘জিপি/পিপিদের বেতন ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাবটি সক্রিয় বিবেচনায় আছে। আশা করছি আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থ  বছরের ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে। এজন্য বাড়তি ২৬৭ কোটি টাকা লাগবে।

Bootstrap Image Preview