Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইসরাইলের ঔষধি পরীক্ষার স্বীকার হচ্ছে ফিলিস্তিনি শিশু ও কারাবন্দিরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:২০ PM
আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:২৪ PM

bdmorning Image Preview


ফিলিস্তিনি শিশু ও কারাবন্দিদের ওপর প্রতিদিন নিত্য নতুন ঔষধের পরীক্ষা চালাচ্ছে ইসরাইলের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি। ইসরাইলি এক অধ্যাপক দাবি করেন, দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোকে এ অনুমতি প্রদান করেছে। 

ফিলিস্তিন ক্রোনিক্যাল ও শেহাব নিউজের বরাতে জানা যায়, মূলত ওই ইসরাইলি অধ্যাপকের গবেষণাতেই আরব ও ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের ওপর এ ওষুধ পরীক্ষার অতি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাদেরা শালহাব-কেভোরকিয়ান দাবিটি করেন। শালহাব আরও জানান, ইসরাইলের সামরিক সংস্থাগুলোও ফিলিস্তিনি অর্থাৎ অধিকৃত জেরুজালেমে শিশুদের ওপর এই ঔষধি অস্ত্রের পরীক্ষা করছে।  

অধ্যাপক শালহাব জানান, হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা প্রকল্প পরিচালনার সময় তিনি এসব তথ্য পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা তাদের নতুন উদ্ভাবিত পণ্য এবং অস্ত্র দীর্ঘমেয়াদে ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

গত সপ্তাহে ফারেস বারুদ নামের এক ফিলিস্তিনি কারাবন্দির মরদেহ হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায় ইসরাইল। কারাগারে বেশ কিছুদিন ধরে একাধিক রোগে ভুগছিলেন তিনি। ফারেসের পরিবারের শঙ্কা, তার শরীরে এ ধরনের ওষুধের পরীক্ষা চালানো হয়ে থাকতে পারে। ফরেনসিক পরীক্ষায় এটা বেরিয়ে আসবে, সেই ভয়ে তার মরদেহ হস্তান্তর করেনি ইসরাইল।

ইতোপূর্বে কারাবন্দিদের ওপর ওষুধের পরীক্ষা চালানো নিয়ে ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইসরাইলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ডালিয়া আইজিক স্বীকার করেন, কারাবন্দিদের ওপর নতুন ওষুধের পরীক্ষা চালানোর জন্য দেশটির ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোকে অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সেই সময় তিনি আরও বলেছিলেন, ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার বন্দির ওপর এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। গত বছরের আগস্টে বেলজিয়ামের ট্রেড ইউনিয়ন অ্যাকডের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক রবরেচট ভ্যান্ডারবিকেন বলেন, গাজা উপত্যকার মানুষ না খেয়ে, বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মরছেন। 

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনি শিশুরা নিখোঁজ হচ্ছে। পরে তাদের মরদেহ পাওয়া গেলেও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ পাওয়া যাচ্ছে না।

Bootstrap Image Preview