পটুয়াখালীর বাউফলে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে এক তরুণী প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছেন। অনশন করতে গিয়ে প্রেমিকের পরিবারের লোকজনের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।
এব্যাপারে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন লাভলু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
অনশনরত তরুণী সাংবাদিকদের জানান, ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল পবিত্র কোরআন শরীফকে সাক্ষী রেখে তাকে বিয়ে করেন প্রেমিক সুমন। বিয়ের পর তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করেন প্রেমিক। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণী সামাজিকভাবে তাকে বিয়ে করার জন্য প্রেমিককে চাপ দেন। এক পর্যায়ে সুমন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে চলে আসে।
ভুক্তভোগী তরুণী আরো জানান, ঘটনা জানাজানি হলে উভয় পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণী স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি করে সুমনের বাড়ি গিয়ে ওঠেন। এ সময় সুমনের মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন। ঘটনার পর বিষয়টি স্থানীয় মাতব্বররা শালিসের মাধ্যমে সমাধান করার কথা বলে ওই তরুণীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। দুই দিনেও কোনো সমাধান না পেয়ে তরুণী আজ রবিবার সুমনের বাড়ির উঠানে গিয়ে অনশন শুরু করেন।
খবর পেয়ে বাউফল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে বাবা মায়ের কাছে হস্তান্তর করেন এবং কেশবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে সামাজিকভাবে ফয়সালা করার তাগিদ দেন। তবে সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং সাজানো নাটক। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এ নাটক সাজানো হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’