Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আসামে বিষাক্ত মদ পানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:১১ AM
আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:১১ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আসামে বিষাক্ত মদ্যপানে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১৭০ জন। গত বৃহস্পতিবার রাতে আসামের পৃথক দুটি স্থানের চা বাগানের শ্রমিকরা মদ্যপান করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

দুই সপ্তাহ আগে দেশটির উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে বিষাক্ত মদ্যপানে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা বিষাক্ত মদের উৎস এবং হোতাদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছেন।

রোববার হতাহতের এ সংখ্যা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে আসামের পূর্বাঞ্চলের তিনটি হাসপাতাল। শনিবার বিষাক্ত মদ্যপানে নিহতের সংখ্যা ১০২ জনে পৌঁছেছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা হীমান্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, হাসপাতালে এখনও ১৭০ জনের বেশি মানুষ অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া আশ-পাশের এলাকা থেকে এখনো নতুন নতুন রোগীরা হাসপাতালে আসছেন।

তিনি বলেন, ভেজাল ওই মদে কী ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে এত মানুষের প্রাণহানি ঘটলো; তা জানতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে।

অবৈধ উপায়ে তৈরি এসব মদ স্থানীয়ভাবে হুচ এবং দেশী মদ নামে পরিচিত। আসামের গোলাঘাট এবং জোরহাট এলাকার চা বাগান শ্রমিকরা এসব মদ পান করেছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে বিষোক্ত মদ্যপানে শতাধিক মানুষের প্রাণ যায়। ভারতে প্রতিনিয়ত মদ্যপানের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।

আসামের বিজেপি দলীয় সংসদ সদস্য মৃণাল শৈকিয়া বলেন, রাজ্যের প্রায় ১০টি স্থানের অত্যন্ত নিম্নমানের মদ তৈরি করেন স্থানীয়রা। স্বল্প খরচে তৈরি এসব মদের ক্রেতা রাজ্যের চা বাগান শ্রমিক ও দিনমজুররা।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে অন্তত দেড় হাজার মানুষ বিষাক্ত মদ পান করেছিলেন। মদ সরবরাহের সঙ্গে জড়িত অন্তত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Bootstrap Image Preview