পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর থেকেই যেন বদলাচ্ছে কাশ্মীরের চেহারা। উত্তেজনা ছাপিয়ে জাঁকিয়ে বসছে আতঙ্ক। গত ২৪ ঘন্টায় দ্রুত গতিতে পরিস্থিতি বদলেছে। তাতে বড় কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলেই মত অনেকের।
সূত্রের খবর, কাশ্মীরে মোতায়েন সমস্ত ভারতীয় সেনা-জওয়ানদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
রিজার্ভ জওয়ানদের নোটিশ পাঠিয়ে তৈরি থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক সঙ্গে ১০০ কম্পানি বাহিনী এই এলাকায় মোতায়েন করা নজিরবিহীন একটি পদক্ষেপ বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।
ছাড়াও জম্মু কাশ্মীর প্রশাসন সাধারণ মানুষের সমস্যাকে মাথায় রেখে ওষুধ এবং রেশন মজুদ করার কথা বলেছে। এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। পুরো কাশ্মীরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা রয়েছে।
জানা গিয়েছে, জওয়ানদের ডিউটিও ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সেই মতো মোতায়েন করা হয়েছে বাহিনী। নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের দায়িত্বে থাকছে বিএসএফ জওয়ানরা। জম্মু-কাশ্মীরের ভেতরের অঞ্চলগুলিতে সিআরপিএফ জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে৷ এই পরিস্থিতি অনেকের মনেই যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি করেছে।
এদিকে, কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত হবার পর থেকে দুই দেশের উত্তেজনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলার পর ভারতের প্রতিরোধের আশঙ্কায় যেকোনো চরম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে ২৫ শতাংশ সিট খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতও কাশ্মীর সীমান্তে ২৭টি গ্রাম খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। দিন দিন এ এক মহা যুদ্ধে রুপ নিচ্ছে।
বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের তিক্ত সম্পর্ক প্রায়ই আক্রোশে রুপ নেয়। সবচেয়ে বেশি প্রভাব লক্ষ্য করা যায় দুই দেশের ক্রিকেট ম্যাচে। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার পর এই দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজন বিরাজ করছে। প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে ভারতের বুকে। ওদিকে পাকিস্তানের হুঙ্কারও থেমে নেই। আর এই উত্তেজনা আরো এক ধাপ বাড়াচ্ছে দেশ দুটির গণমাধ্যম। যুদ্ধের আশঙ্কা থেকে সামরিক দিক থেকে কার কত শক্তি সেই হিসেব কষছে গণমাধ্যমগুলি।