Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তদন্ত কমিটির কাছে অগ্নিকাণ্ডের সিনেমাটিক বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:২৮ PM
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:৩২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রাজধানীর চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেশ কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে বেশ তোরজোড়ের সাথে। এই কমিটি ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানার চেষ্টা করছেন কিভাবে সেদিন অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে এবং সেই আগুন কিভাবে ছড়িয়ে পড়েছে? এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির কাছে দেওয়া দুই প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীর বর্ণনা তুলে ধরা হলো।  

গত বুধবার রাতে দেবীদাস ঘাটের বাসা থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের কাছে সাগুন কমিউনিটি সেন্টারে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন শাহাদাত হোসেন। সঙ্গে ছিল তাঁর ১৩ বছরের ছেলে শাফিন। চকবাজারের চুড়িহাট্টা মোড়ে আসার পরপরই তিনি যানজটে আটকা পড়েন। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির কাছে গতকাল নিজের বক্তব্য দিয়েছেন শাহাদাত। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির কাছে শাহাদাত বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে ওয়াটার ওয়ার্কস সড়ক দিয়ে তিনি চুড়িহাট্টা মোড়ের দিকে এগোচ্ছিলেন। সড়কটি ওয়াহেদ ম্যানশনের দক্ষিণ সীমানা ঘেঁষে। মোড়ের ৮-১০ ফুট আগে যানজটে পড়ার কারণে তিনি আর এগোতে পারছিলেন না। এ সময় হঠাৎ ওয়াহেদ ম্যানশনের সামনের দিক থেকে আগুনের ঝলসানো আলো তাঁর চোখে ধাক্কা দেয়। মুহূর্তেই ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতলার দেয়াল তাঁর পাশে ভেঙে পড়তে থাকে। ইটের টুকরা তাঁর শরীরে ও ছেলের মাথায় এসে পড়ে। চোখের পলকে মোটরসাইকেলটি ফেলেই ছেলেকে নিয়ে তিনি দৌড় দেন। তখন আশপাশের লোকেরাও নিজেদের ভেতরে রেখে দোকানের শাটার লাগিয়ে দিচ্ছিলেন। তাঁদের প্রায় সবাই দোকানের ভেতরে মারা গেছেন।

আগুনের ‘গোলা’ উড়ে এসে পড়ে পড়ার বক্তব্য দিচ্ছিলেন আবাসন ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান। নিজের চোখে দেখা সেসময়ের ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন চালক ইউসুফ। তিনি পাশে বসে ছিলেন। মোড়ে যানজটে আটকা পড়ার পর হঠাৎ বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পান। এরপর ওপর থেকে আগুনের ‘গোলা’ এসে গাড়ির সামনের অংশে পড়লে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়’।

তিনি পাশের দরজা খুলে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু দরজাটি তখন খুলছিল না। পাশ ফিরে দেখেন গাড়িচালক তাঁর দরজা খুলে বের হতে পেরেছেন। তখন তিনিও কোনোরকমে চালকের দরজা দিয়ে বের হয়ে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটিকেও একই বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, সেদিনের আগ্নিকাণ্ডেড় ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ হয়ে ও ধোঁয়ায় দম আটকে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন । যার মধ্যে ৪৮ টি মরদেহ শনাক্তের পর সেগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকিগুলো ডিএনএ টেস্ট এর পরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Bootstrap Image Preview