Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আগুনে নয় ধোঁয়ায় দম আটকে মরেছে ২৬ জন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:৪৩ PM
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:৪৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রাজধানীর চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শরীরে আগুন না লাগলেও ধোঁয়ায় আটকে দম বন্ধ হয়ে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গলির মধ্যে আটকে যাবার পর তাদের এ পরিস্থিতির শিকার হতে হয় বলে জানা গেছে।

ওয়াহেদ ম্যানশনের নিচতলার একটা গলি থেকে ওই ২৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। একজনের দেহ আরেকজনের ওপর পড়ে ছিল। কেউ ছিলেন চিত হয়ে, কেউবা উপুড় হয়ে।

রাত একটার পর এতগুলো লাশ একসঙ্গে দেখেন লালবাগ ফায়ার স্টেশনের লিডার সাইদুল করিম। ভোর রাতে তাদের মৃতদেহ উদ্ধঅর করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

সাইদুল করিম গতকাল শনিবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমকে বলেন, চকবাজারের চুড়িহাট্টায় এসে দেখি, বিশাল আগুন। আমরা কাজ করতে থাকি। এ আগুন ছিল ভয়ংকর। কাজ করার পর আমরা দেখি মানুষের মৃতদেহ। কাজ করার একপর্যায়ে ওয়াহেদ ম্যানশনে গিয়ে একসঙ্গে পাই ২৬ লাশ। একজন আরেকজনের ওপরে শুয়ে আছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। আগুন যখন নিয়ন্ত্রণে আসে, গভীর রাতে লাশগুলো প্যাকেটে স্থানান্তর করি।’

ওয়াহেদ ম্যানশনের ২৬ লাশ পাওয়ার বিষয়ে সাইদুল করিম বলেন, ‘আশপাশে ছিল ওষুধ ফার্মেসির দোকান, ছিল ফ্লেক্সিলোডের দোকান। আগুন লাগার পর যে যার দোকানে ছিলেন। তাঁরা বাঁচার জন্য ওয়াহেদ ম্যানশনের ভেতরে একটা সরু গলি ছিল, সেই গলিতে আশ্রয় নিয়েছিলো সবাই। যদি পেছন থেকে যাওয়ার কোনো পথ থাকত, তাহলে সবাই বেঁচে যেতেন। কিন্তু সবাই মারা গেছেন ধোঁয়ার জন্য। একটা লোকও কিন্তু পোড়ে নাই। ২৬ লাশের মধ্যে কোনো নারীর লাশ ছিল না। শুধু শিশুর একটা লাশ পাই। বয়স তাঁর পাঁচ বছরের মতন। রাত একটা থেকে দেড়টা সময়, এই লাশের খোঁজ আমরা পাই। লাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। রাত যখন গভীর হয়, তখন লাশ বের করে আনা হয়। লাশগুলো অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

Bootstrap Image Preview