Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে শরীয়তপুরের দুজন নিহত

আসাদ গাজী, শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৫০ AM
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৫০ AM

bdmorning Image Preview


পুরান ঢাকার চকবাজারের চুরিহাট্টা গলিতে নিহতদের মধ্যে শরীয়তপুরের দুজন রয়েছেন। তাদের গ্রামের বাড়িতে এখন শোকের মাতম চলছে।

নিহতদের একজন চুরিহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনের ম‌দিনা ডেকোরেটর দোকানের শ্রমিক বিল্লাল হোসেন চৌ‌কিদার। আরেকজন পাশের বড়কাটরা এলাকার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি ওমর ফারুক। বিল্লালের বাড়ি জেলা সদরের চিকন্দি গ্রাম। আর ওমর ফারুকের বাড়ি নড়িয়ার চরআত্রা মুন্সিকান্দি ।

বিল্লাল, স্ত্রী ও আট বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে ঢাকার লালবাগে ভাড়া থাকতেন। আগুনে মদিনা ডেকোরেটরের দোকানে আটকা পড়েন তিনি। পরদিন তার দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার হয়।

বিল্লা‌লের স্ত্রী রুমা বেগম জানান, বাসা থে‌কে রাত সা‌ড়ে ৯টার দি‌কে কা‌জের উদ্দে‌শে চকবাজার ম‌দিনা ডে‌কে‌রেটরে যায় আমার স্বামী। ঘটনার ১৫ মি‌নিট আগে তার সঙ্গে আমি কথা ব‌লি। যখন আগুন লা‌গে তখন বার বার ফোন দেই, আমার স্বামীর ফোন বন্ধ পাই। শু‌নে‌ছি  আগু‌নে পু‌ড়ে যারা নিহ‌ত হ‌য়ে‌ছে তা‌দের মরদেহ না‌কি ঢাকা মে‌ডি‌কে‌ল ক‌লেজ হামপাতা‌লে ‌নেয়া হ‌য়ে‌ছে। দৌঁড়ে ঢাকা মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে যাই। সেখা‌নে আমার স্বামীর মরদেহ পাই।

ওমর ফারুক ঢাকার বড়কাটরা এলাকায় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। বুধবার রাতে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে চুরিহাট্টা গলিতে আটকা পড়েন। সেখান থেকে তার পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেন। ওমর ফারুকের বাবা করিম মাদবর বলেন, আমার ছেলে ছুটিতে বাড়ি আসার কথা ছিল। তার মাকে ডাক্তার দেখাতে ঢাকা নেয়ার কথা ছিল। ছেলেতো আর বাড়ি আসল না।

শরীয়তপুরের ডিসি কাজী আবু তাহের বলেন, শরীয়তপুরের দুইজনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। সরকার ঘোষিত সব অনুদান তাদের পরিবার পাবে। এছাড়া জেলা প্রশাসন ওই দুজনের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।

Bootstrap Image Preview