সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সফরে তাকে স্বাগত জানাতে প্রোটকল ভেঙে বিমানবন্দরে ছুটে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখান থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে যুবরাজকে নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রীর বাসভনে।
ইমরানের এ অ্যাপায়ন কূটনীতির অনুকরণ করে সৌদি রাজপুত্রকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে দৌড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। পাকিস্তান ও ভারতে প্রোটকল ভাঙা কূটনৈতিক আপ্যায়ন পেয়েছেন বিন সালমান। তার এ এশিয়া সফরে একমাত্র চীনই ব্যতিক্রম।
সৌদির প্রভাবশালী যুবরাজ আসছেন বলে বিমাবন্দরে ছুটে গিয়ে প্রটোকল ভাঙার মতো আহামরি কিছু করেনি দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান খি লি ফুংকে।
চ্যানেল নিউজ এশিয়া জানায়, বৃহস্পতিবার এশিয়া সফরের শেষ গন্তব্য চীনে পৌঁছান বিন সালমান। তাকে স্বাগত জানান চীনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান খি লি ফুং। সৌদি আরবে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি হুয়া শিন ও অন্য শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিন খি লি ও হুয়া শিনকে সঙ্গে নিয়ে চীনের মহাপ্রাচীর ঘুরে দেখেছেন যুবরাজ। শুক্রবার সেখানে চীনের ভাইস প্রধানমন্ত্রী হ্যান জেংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। শুক্রবার দিন শেষে শি’র সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা।
এছাড়া চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল-জুবায়ের। দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে একমত হয়েছেন তারা। উভয়ই সৌদি ও চীনের মধ্যে দ্রুত সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রশংসা করেন।
শুক্রবার সৌদি আরবে বিনিয়োগ শীর্ষক এক সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সহস াধিক বিনিয়োগকারী ও বিনিয়োগ কোম্পানি অংশগ্রহণ করে।
এর আগে পাকিস্তানে ২ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ করেন সৌদি যুবরাজ। একে স্বাগত জানায় চীন। সৌদি বিনিয়োগ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে গতিশীল করবে বলেই আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়ান।
পাকিস্তান সফরে সৌদি আরবে বন্দি প্রায় ২ হাজার জনকে মুক্তির নির্দেশ দেন যুবরাজ। ভারতেরও ৮৫০ বন্দিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। স্বাক্ষর করেছেন ৫টি সমঝোতা স্মারক। এ দুই দেশের অ্যাপায়নে মুগ্ধ হয়ে দয়ার হাত খুলে দিয়েছিলেন যুবরাজ।