ব্রাজিল-ভেনেজুয়েলা সীমান্তে মানবিক ত্রাণ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে সেনাদের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৭ জন।
শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ভেনেজুয়েলার গ্রান সাবানা শহরের মেয়র এমিলিও গনজালেজ।
এমিলিও গঞ্জালেজ জানান, ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড এবং সেনারা ট্যাংক নিয়ে অগ্রসর হওয়ার সময় স্থানীয় পেমন স্বদেশি গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
মাদুরোর নির্দেশে সেনারা ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিতে এসেছে ভেবে স্থানীয়রা সামরিক গাড়িবহর আটকে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময়ই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে বিদেশি মানবিক সহয়তা রোধে ব্রাজিলের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের আদেশ দেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। এছাড়া বিরোধীরা যাতে ত্রাণ নিয়ে আসতে না পারে সে জন্য কলম্বিয়ার সঙ্গে ভেনিজুয়েলার সীমান্তও বন্ধ করে দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
ভেনিজুয়েলার মানবিক সংকট থাকার কথা অস্বীকার করে মাদুরো বলেছেন, বিদেশি ত্রাণ সরবরাহের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের সাজানো নাটক।
দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা গুইদো গত মাসে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের সময় নিজেকে দেশের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। এরপর পরই তাকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
প্রেসিডেন্ট মাদুরোর আপত্তি অগ্রাহ্য করেই গুইদো ও তার সমর্থকরা মানুষের জন্য খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য মানবিক ত্রাণ ব্রাজিল এবং কলম্বিয়া থেকে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।
কারাকাস থেকে কলম্বিয়া সীমান্ত পর্যন্ত একটি কনভয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গুইদো। তারা দেশটির জন্য অর্থসংগ্রহ করতে শুক্রবার কলম্বিয়া সীমান্তে একটি কনসার্টও আয়োজন করেছে। তাদের আশা ছিল শনিবারেরই কলম্বিয়া এবং ব্রাজিল থেকে ত্রাণ সংগ্রহ।
বৃহস্পতিবার রাতেই ত্রাণ নিয়ে সীমান্ত ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ব্রাজিল সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
এদিকে মাদুরোর সীমান্ত বন্ধের ঘোষণার পরপরই ভেনিজুয়েলার অনেকেই ব্রাজিলের একটি শহরে গিয়ে জিনিসপত্র মজুদ করতে শুরু করেন। ভেনিজুয়েলার সঙ্গে ব্রাজিলের সীমান্ত ক্রসিং সাধারণত রাতে বন্ধ হয়ে যায় এবং স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় খোলে।