পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকে তিন মিনিট দেরি করায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন জাপানের অলিম্পিক মন্ত্রী ইয়োশিতাকা শাকুরাদা।
বৃহস্পতিবার শাকুরাদার দেরি করার প্রতিবাদে বাজেট কমিটির বৈঠক ৫ ঘন্টার জন্য বয়কট করেন বিরোধীদলীয় এমপিরা। তারা মন্ত্রীর দ্রুত পদত্যাগ দাবি করেছেন। তারা বলেন, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে ইয়োশিতাকা শাকুরাদা অফিসের প্রতি দায়িত্বশীল নন। খবর বিবিসি।
গতবছর অক্টোবরে মন্ত্রী পদে নিয়োগ পান শাকুরাদা। এরপর থেকৈই একেরপর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে অলিম্পিকে সাঁতারের এক সম্ভাব্য প্রতিযোগীর লিউকেমিয়া ধরা পড়ায় শাকুরাদা ‘খুবই হতাশ হয়েছেন’ মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন এবং এর জেরে ক্ষমা চাইতে হয় তাকে।
এর আগে ২০১৬ সালেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার জাপানি সেনাদের যৌনদাসী করে রাখা ‘কমফোর্ট উইমেন’দের ‘পেশাদার পতিতা’ তকমা দিয়ে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন শাকুরাদা।
এছাড়া গতবছর সাইবার নিরাপত্তামন্ত্রী পদে থাকা শাকুরাদা জীবনে কখনো কম্পিউটারই ধরেননি বলে মন্তব্য করেও সমালোচনায় পড়েন। তিনি কম্পিউটার না ধরলেও তার অধীনস্তরা সবাই তা জানেন, ফলে কাজে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরই বিরোধীদল থেকে একাধিকবার শাকুরাদার পদত্যাগের দাবি ওঠে।
সম্প্রতি জাপানের একটি পত্রিকার জরিপে শাকুরাদা মন্ত্রী পদের যোগ্য কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে ৬৫ শতাংশ মানুষই বিপক্ষে মত দিয়েছেন। আর ১৩ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন তার পক্ষে।