রাজধানীর পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউনগুলো সরাতে খুব দ্রুত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি খুব দ্রুত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা হবে। সেখানে কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে, কিভাবে স্বল্পসময়ের মধ্যে বৈধ-অবৈধ সবাইকে সরিয়ে নেওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া রোগীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইজিপি।
তিনি বলেন, নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পুরান ঢাকা থেকে সব গোডাউন সরানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তাদেরকে কেরানীগঞ্জে সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। এই পরিকল্পনায় সরকারের অনেকগুলো সংস্থা জড়িত। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় এদের সরাতে হবে।
ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া সব মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ হলো, যে কয়েকটি মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে সেগুলোকে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে দেওয়া। বিশেষ করে অগ্নিদগ্ধদের মরদেহ শনাক্তকরণে বিশেষ জটিলতা থাকে। কেননা এই মরদেহগুলোর মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। ফলে তাদেরকে চেনা যায় না। আমি জানতে পেরেছি যে তারা ভয়ঙ্করভাবে পুড়ে গেছে। এজন্য এক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্ট করা জরুরি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৩৭ জনকে শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে ১২ জনকে তাদের আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সর্বমোট নিহতের সংখ্যা ৬৭। ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা মেডিকেলের মর্গের তথ্য অনুসারে সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, চিকিৎসাধীন ৯ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এক জনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত আরও দু’জনকে আইসিইউতে নেওয়া হবে এবং ভর্তি সব রোগীর শ্বাসনালী পুড়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। রাতে সর্বমোট ১৮ জন ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে ৯ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান।