নাম কাজি এনামুল হক। রাজধানীতে এসেছিলেন একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। কিন্তু ইন্টারভিউ আর দেওয়া হলো না তার। চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার আগেই আগুনে পুড়ে না ফেরা দেশে চলে গেলেন তিনি।
নিহতের ভাই কাজি ইউসুফ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, তার ভাই ঢাকা এসেছিলেন কয়েক মাস আগে। পুলিশের চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কথা ছিল। তাই ভাই তার সঙ্গে পুরান ঢাকায় একটি মেসে থাকতেন।
তিনি বলেন, আগুনের ঘটনার দিন এনামুল দাঁতের ডাক্তার দেখাতে মদিনা ডেন্টালে গিয়েছিল। সবশেষ তার সঙ্গে রাত ১১টায় মোবাইলে কথা হয়। এরপর তার সঙ্গে আর কথা বলা হয়নি। সেই যে গেল এনামুল আর ফিরে আসেনি।
এনামুলের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ। তিনি ঢাকা সিটি কলেজ থেকে বিবিএ পাস করেছেন। ভালো একটি চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তার আগেই তিনি আগুনে পুড়ে মারা যান। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮১ তে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক। আগুনে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহগুলোর নাম-পরিচয় জানাতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছে সিআইডি।
চুরিহাট্রায় অগ্নিদগ্ধে নিহতদের মধ্যে যাদের মরদেহ পুরোপুরি পুড়ে গেছে তাদেরকে শুধু দেখে সনাক্ত করা সম্ভব নয়। এমন মরদেহগুলোর পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।
প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ভবনে আগুন লাগে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও আবারও বেড়ে যায়।