রাজধানীর চকবাজার এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের ছাত্র কাওসার আহমেদ। খবর শুনেই মর্গে ছুটে আসেন কাওসারের দুই ভাই, মা ও স্ত্রী মুক্তা। তাদের কোলে রয়েছে ছোট্ট ফুটফুটে দুই শিশু। তারা কাওসারের যমজ ছেলে-মেয়ে।
কাওছারের বন্ধুরা জানান কাওসার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের ছাত্র ছিলেন। সদা চঞ্চল এ শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষে হলের গণরুম (এক কক্ষে ২৫ জন থাকত, ১৮১) মাতিয়ে রাখতেন। যেমনটি বলছিলেন তার বন্ধু দর্শন বিভাগের ছাত্র সৈয়দ শরিফুল আলম শপু। পরবর্তীতে পরিবারের দায়িত্ব নিতে গিয়ে চকবাজার শাহী জামে মসজিদ এলাকায় দেন আল-মদিনা ফার্মেসি। এরপর কুমিল্লার হোমনা উপজেলার এ শিক্ষার্থী তৃতীয় বর্ষে থাকাকালীন বিয়ে করেন। ছিল ১১ মাস বয়সী যমজ বাচ্চাও।
মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে কাওসারের ভাই ইলিয়াস বলেন, ‘ও নেই জানতে পারছি। লাশ মর্গে আসছে। তবে দেখতে পাচ্ছি না, খুঁজছি।’
পেশায় দাঁতের চিকিৎসক ইলিয়াস বলেন, ‘আমি, ইয়ামীন, ফয়সাল, কাওসার-আমরা চার ভাই। কাওসার মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।’
ইলিয়াস বলেন, আগুনের সময় ক্লিনিকের ভবনের গেট বন্ধ ছিল। খোলা থাকলে হয়তো ভাইকে ফিরে পেতাম। ওই ক্লিনিকে কাওসারের সঙ্গে ছিলেন তিন দাতের চিকিৎসক ও এক রোগী।
বিকেলে বিজনেস অনুষদে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।