রাজধানীর চকবাজারের চুরিহাট্টা এলাকার ভবনের ভয়াবহ আগুন থেকে রেহাই পেলেন না দুই চিকিৎসকও। একসঙ্গে একটি দাঁতের চিকিৎসাকেন্দ্রে দুই চিকিৎসকসহ ৬ জন মারা যান।
নিহত দুই চিকিৎসক হলেন- ডা. ইমতিয়াজ ইমরোজ রাসু ও ডা. আশরাফুল। তারা দুজনই বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজ থেকে সম্প্রতি পাস করে আল মদিনা মেডিকেল হল ও ডেন্টাল নামে ওই চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছিলেন।
এ ছাড়াও নিহতের মধ্যে রয়েছেন- আল মদিনা মেডিকেল হল ও ডেন্টাল চিকিৎসাকেন্দ্রের মালিক কাওসার আহমেদ।
ওই ফার্মেসিতে নিহত বাকি তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম কাওসার, তিনি ওই সময় চিকিৎসা নিতে সেখানে গিয়েছিলেন। বাকি দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
কাওসার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তার বন্ধু সূর্যসেন হলের ছাত্র শরীফুল আলম বলেন, কাওসার মাদ্রাসায় পড়তেন, কোরআনে হাফেজ ছিলেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
তিনি বলেন, সে মাঝে মধ্যে সূর্যসেন হলেও এসে থাকত। আবার বাসায়ও থাকত। ওষুধের দোকানটাও সেই চালাত। কাওসার বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। আবদুল্লাহ নামে একটি ছেলে ও নুসাইবা নামে একটি মেয়ে আছে তার।
বুধবার(২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে চকবাজারে প্রথম যে চারতলা ভবনে আগুন লাগে, তার উল্টো দিকের ভবনে কাওসারের আল মদিনা মেডিকেল ও ডেন্টাল চিকিৎসাকেন্দ্র। আগুন ওই ভবনেও ছড়িয়েছিল।
এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭৮ জনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। সেখানে গিয়ে সকালে লাশ শনাক্ত করেন কাওসারের দুই ভাই, মা ও স্ত্রী।
কাওসারের ভাই ইলিয়াস জানান, তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা থানায়। তারা সপরিবারে পুরান ঢাকায় থাকতেন। আগুনে কাওসারের মেডিকেল হলে অবস্থানকারী দুই চিকিৎসকসহ ছয়জন মারা গেছেন।