পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডিতে সেনা হাসপাতালের বেডে শুয়েই ভারতের পুলওয়ামায় হামলার নির্দেশ দিয়েছিল জঈশ নেতা মাসুদ আজহার। গত চার ধরে এ জঙ্গি নেতা ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভাগ্নে ও ভাইপোর মৃত্যুর ‘বদলা’ নিতেই হামলার ছক কষেছিল জঈশ-ই-মোহাম্মদ নেতা আজহার বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে ভারতের গোয়েন্দারা।
টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, হামলার মূল হোতা আজহার হলেও জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল দুই জঈশ কমান্ডার গাজি রসিদ ও কামরান। আফগান যুদ্ধে অভিজ্ঞ রসিদ এখনও কাশ্মীরে লুকিয়ে আছে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের।
দুই জঙ্গিই পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢুকে আদিলের মগজধোলাই করে এবং প্রশিক্ষণ দেয়। বিস্ফোরক ও অন্যান্য সরঞ্জামও পাকিস্তান থেকে নিয়ে এসেছিল তারা। গাজিকে পাঠানো মাসুদ আজহারের শেষ বার্তা ছিল, ‘বিরাট হামলা চাই, যাতে গোটা ভারত কাঁদে।’
একাধিক সূত্রে গোয়েন্দারা মনে করছেন, এমন কিছু সাংকেতিক মেসেজের অংশ গোয়ন্দাদের হাতে এসেছে, যা থেকে স্পষ্ট যে হামলার চূড়ান্ত নির্দেশ এসেছিল আজহারের কাছ থেকেই। পুলওয়ামা হামলার ৮ দিন আগেই হাসপাতাল থেকেই ক্ষীণ কণ্ঠে অধস্তন জঙ্গিদের একটি অডিও বার্তা দেয় আজহার।
এতে বলতে শোনা যায়, ‘এ হামলায় মৃত্যু মিছিলই হবে সবচেয়ে বড় আনন্দ। ভাইপো উসমান হত্যার প্রতিশোধ চাই।’ জম্মু-কাশ্মীরে গত বছরে বেশ কয়েকজন বড় মাপের জঈশ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম তালহা ও উসমান ইব্রাহিম। তালহা হল মাসুদ আজহারের বোনের ছেলে। উসমান হল আজহারের ভাইয়ের ছেলে বা ভাইপো।
এদিকে জঙ্গি হানার জেরে ছয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। তারা হল হুররিয়াত নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুক, ফজল হক কোরেশি, আবদুল গনি ভাট, বিলাল লোন, হাসিম কুরেশি এবং সাবির শাহ।
পিটিআই জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যা থেকেই ৬ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বরাদ্দ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি তুলে নেয়া হয়েছে।