Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাকিস্তানকে যা যা দিলেন সৌদি যুবরাজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:০০ PM
আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:০০ PM

bdmorning Image Preview


সৌদি আরবের কারাগারে বন্দি দুই হাজার পাকিস্তানিকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। পাকিস্তানি তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এমন খবর জানিয়েছে।

যুবরাজকে স্বাগত জানিয়ে রবিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ইমরান খান।

সেখানে এক বিশেষ অনুরোধে তিনি যুবরাজকে বলেন, সৌদি আরবে তিন হাজার পাকিস্তানি বন্দি রয়েছেন। তারা খুবই দরিদ্র। দেশে পরিবার-পরিজনকে ফেলে রেখে তারা কাজের খোঁজে সেখানে গিয়েছেন। যদি তাদের বিষয়টি আপনি বিবেচনায় নিতেন।

এসময় যুবরাজ বলেন, সৌদি আরবে আমাকেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিবেচনা করবেন।

ইমরান খান বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ২৫ লাখ পাকিস্তানি শ্রমিক রয়েছেন। তারা বর্তমানে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এসব শ্রমিকরা নিজেদের পরিবার সন্তানাদি ফেলে সৌদি আরকে কাজের খোঁজে যান। বছর কিংবা মাসের পর মাস তারা পরিবার থেকে দূরে থাকেন।

জবাবে এমবিএস নামে পরিচিত যুবরাজ বলেন, আমি পাকিস্তানকে না বলতে পারি না। যতটা সম্ভব তাদের জন্য কাজ করব।

এদিকে ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশ কিছু বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছে সৌদি আরব ও পাকিস্তান। পাকিস্তান তাদের বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এসব চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।

যেসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার মধ্যে আছে বন্দর নগরী গোয়াদরে একটি ওয়েল রিফাইনারি স্থান করা হবে আট বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে। এর বাইরেও জ্বালানি, পেট্রোকেমিকেল ও খনিজ খাত নিয়ে দু'পক্ষ বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, 'প্রথম ধাপের জন্য এটা বেশ বড় এবং নিঃসন্দেহে এটা প্রতি মাসে ও প্রতি বছর বাড়বে। এটা দু'দেশের জন্যই উপকারী হবে।'

নানা সমস্যায় জর্জরিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ মাত্র আট বিলিয়ন ডলার। এ কারণে বৈদেশিক দেনা পরিশোধে দেশটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নগদ অর্থের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এজন্য একদিকে বন্ধু দেশগুলোর কাছে সহায়তা চাইছেন, আবার দেশের অভ্যন্তরে ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। এটি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলে তাদের কঠিন শর্তগুলোর মধ্যে ভর্তুকি কমিয়ে আনার বিষয়টিকে রেখেছে।

Bootstrap Image Preview