কাশ্মীরের ভারতীয় সেনাবহরে হামলায় ৪৪ জন সেনা সদস্যদের নিহতের ঘটনায় অভিযোগের তীর পাকিস্তানের ওপর পড়েছে। পাকিস্তান সরকার বা প্রশাসনের প্রত্যক্ষভাবে এই ঘটনায় যোগ না থাকলেও পাকিস্তানে আশ্রিত মাসুদ আজহারের নেতৃত্বাধীন জইশ ই মুহম্মদ সংগঠনই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে দাবি ভারতীয় গোয়েন্দাদের। তবে ঘটনার পরপরই পাকিস্তান সমস্ত অভিযোগই প্রত্যাখ্যান করেছে।
গোয়েন্দারা বলছে, কাশ্মীর উপত্যকার বুকে সেনাবাহিনীর উপরে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার নির্দেশ সীমান্তপার থেকে এসেছিল তার যাবতীয় তথ্য ইতিমধ্যেই হাতে চলে এসেছে। কিন্তু যে সব তথ্য গোয়েন্দা বিভাগের হাতে এসেছে, তা চোখ কপালে তুলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিগত চার মাস ধরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই পুলওয়ামা হামলার পরিকল্পনা করছিল মাসুদ আজহার। তাও আবার এমনি হাসপাতাল নয়, খোদ পাকিস্তানের সেনা ছাউনির হাসপাতালে বসে এই প্ল্যান করে জইশ প্রধান। গত চার মাস ধরে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির সেনা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে মাসুদ আজহারের।
এই হামলার আট দিন আগেই একটি অডিও টেপের মাধ্যমে জঙ্গিদের সমস্ত রকম নির্দেশ দেয় মাসুদ। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘অনেকে অনেক কিছু বলতে পারে। কেউ বলবে নৃশংস, কেউ বলবে মূর্খের মতো কাজ, এই বলবে পাগলামি। কিন্তু মনে রাখবে যুদ্ধে গিয়ে প্রাণত্যাগ করার থেকে গৌরবের আর কিছু হতে পারে না।’
আরও তদন্ত চালিয়ে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, এই কাজের জন্য জইশ-এর কোনও নেতা সামনে আসেনি। বরং উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্যে যুবকদের মগজ ধোলাই করেই এই হামলা চালানোর পক্ষে ছিল। সেভাবেই আদিলেকে কাজে লাগিয়ে চালানো হয় এই হামলা। মূলত তারা বিপথগামী যুবকদের নিশানা করেছিল জঙ্গি হামলায় মানববোমা হিসেবে ব্যবহার করতে। এরপরই গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে কাশ্মীরে জইশ-এর প্রায় ৬০ জন শীর্ষ নেতা রয়েছে, যারা লাগাতার এই কাজই করে চলেছে।