আগামীকাল শনিবার কক্সবাজার ও টেকনাফ অঞ্চলের সব ধরণের ইয়াবা কারবারিরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। ঠিক তার আগের দিন কক্সবাজারের রামু থেকে পাচারকালে পাঁচ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আজ শুক্রবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারে রামুর কচ্ছপিয়ার হাজিপাড়ার একটি খামারবাড়ি থেকে সাড়ে ৫ লাখ পিস ইয়াবা আটক করেছে বিজিবি ও র্যাব। এই সময় আটক হয়েছে ৪ ইয়াবা পাচারকারী। ভোররাতে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির বিশেষ অভিযানে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানা যায়।
নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল আসাদুজ্জামান জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাজিরপাড়া এলাকার একটি খামারবাড়িতে ইয়াবা মজুদ রয়েছে- এমন খবর পেয়ে বিজিবির একটি বিশেষ দল অভিযানে যায়। অভিযানকারীরা পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবার বিশাল চালানটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। বিজিবির অভিযান টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।
এদিকে, কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে একটি ট্রলারে অভিযান চালিয়ে র্যাব-১৫ এক লক্ষ পিস ইয়াবাসহ ৪ মিয়ানমার নাগরিককে আটক করেছে। এই সময় ইয়াবা পাচারে ব্যবহৃত ট্রলারটিও জব্দ করা হয়।
র্যাব- ১৫ কক্সবাজার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদি হাসান জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে একটি ট্রলারে করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা বাংলাদেশে আসার গোপন তথ্য পায় র্যাব। আজ দুপুরে গভীর সাগরে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ইয়াবাসহ ৪ জন মিয়ানমার রোহিঙ্গাকে আটক করে।