ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় বিজিবি-এলাকাবাসীর সংঘর্ষের সময় বিজিবির ছোড়া এলোপাথারী গুলিতে নিরীহ কৃষক ও এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় দোকানদারেরা কোন পণ্যসামগ্রী তাদের কাছে বিক্রি করবে না বলে হুশিয়ারী দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ হুশিয়ারী জানায় বক্তারা।
এলাকাবাসীর আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মমিরুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী মিঞা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মুন্না, বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবের সভাপতি এনএম নুরুল ইসলাম, সাংবাদিক হারুন অর রশিদ, জুলফিকার আলী, রমজান আলী, স্বাধীন সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ রায়হান দুলু স্থানীয় গণ্যমান্য বক্তিরা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, সীমান্তে বিজিবিকে আমাদের প্রাণ রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। অথচ তারাই নিরীহ মানুষের প্রাণ নিচ্ছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সদর উপজেলার গড়েয়ায় বিজিবি'র গুলিতে ৬ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ নিয়েছিল এই বিজিবি’র সদস্যরা। এক বছর পার হতে না হতেই আবার এ হত্যাকাণ্ড ঘটালো তারা।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা বলেন, বিজিবির সদস্য গুলি করে হত্যার পর কৃষক, এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরকে চোরাকারবারী বলে দাবি করছে। বিজিবি এমন মিথ্যাচার এবং তাদের জঘন্য কর্মকাণ্ডর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তারা।
উল্লেখ, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিজিবি-এলাকাবাসীর সংঘর্ষে বিজিবির গুলিতে এসএসসি পরীক্ষার্থী, মাস্টার্স পড়ুয়া ছাত্রসহ ৩ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে জেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার টাকা দাফন খরচ বাবদ প্রদান করা হলেও এ পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি স্থানীয় থানায়।
এ ছাড়াও বিজিবি’র এমন হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।