Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ সোমবার, মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সিরিয়ায় শেষ আস্তানা ছাড়ছে আইএসের পরিবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৪:১৩ PM
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৪:১৩ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


সিরিয়ার গোলযোগপূর্ণ বাগোউজ এর কাছাকাছি একটি এলাকা। শুষ্ক রুক্ষ অঞ্চলটির চারদিকে শুধু পানির জন্যে হাহাকার। মানুষ ‘পানি পানি!’ বলে চিৎকার করছে। আর ট্রাকে করে নিয়ে আসা বেশকিছু পানির বোতল তাই নিমিষেই খালি হয়ে যায়। ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত শরণার্থীরা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।

অন্তত ৩শ নারী ও শিশুকে মরুভূমির ঝোপঝাড়ের পাশেই ঘুমাতে হচ্ছে। এদের অধিকাংশই ইরাকী। সর্বস্ব হারানো অসহায় মানুষগুলো সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বাগোউজ থেকে পালিয়ে এসেছে। এটি ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বশেষ এলাকা।

অল্প কয়েকজন ভাগ্যবান তাঁবু পেয়েছে। তবে অধিকাংশই কম্বলের নিচে রাত কাটিয়েছে। তারা কয়েকটি খাবারের প্যাকেট ও পানির বোতল পেয়েছে। মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) শরণার্থীদের এই কম্বল, তাঁবু ও খাবার সরবরাহ করেছে। ওই স্থানে কোন মানবিক সংগঠন বা সংস্থা পৌঁছেনি। বাগদাদ থেকে আগত ফাতিমা বলেন, ‘প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বাচ্চারা রাতভর কেঁদেছে।’ তিনি বাগোউজ থেকে প্রাণ বাঁচাতে চার শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন। শিশুগুলোর বয়স ১৫ বছরের কম।

তিনি আরো বলেন, ‘বাগোউজে ব্যাপক বোমা বর্ষণ হচ্ছে। সেখানে বাড়িতে থাকার চেয়ে এখানে খোলা আকাশের নিচে ঘুমানোও নিরাপদ।’ বাস্তুচ্যুতরা এসডিএফ সদস্যদের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। এরপর তাদেরকে ট্রাকে করে উত্তরে আল-হোল শরণার্থী শিবিরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পৌঁছতে ছয় ঘণ্টা লাগবে। ফাতিমা বলেন, ‘অন্তত একটি ক্যাম্পে গেলে আমরা তাঁবু পাব।’

বুধবার বিকেলে সূর্য মাঝ আকাশে পৌঁছালে ত্রাণ বিতরণ স্থানটি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। খালি পায়ে শিশুরা মাটিতে বসে। তাদের সারা মুখে বালুতে মাখামাখি। একটি শিশুকে প্লাস্টিকের চামচ চিবুতে দেখা গেছে। শিশুদের চারপাশে খালি বোতল ও নোংরা কাপড় পড়ে আছে।

Bootstrap Image Preview