Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের স্থায়ী ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৪১ PM
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৪১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সব কিছু ফেলে দাবী আদায়ের আশায় রাজপথে অনশন আন্দোলন করা অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের (এসিটি) চাকরির ধারাবাহিকতা রক্ষায় স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

আজ বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে উপমন্ত্রীর দফতরে বাংলাদেশ এসিটি অ্যাসোসিয়েশন এর নেতারা উপমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে তিনি এ আশ্বাস দেন। দুপুরে এসিটি শিক্ষকদের চার নেতা তাদের সমস্যা নিয়ে উপমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মণ সাংবাদিক এ তথ্য জানান।

কৌশিক চন্দ্র বর্মণ সাংবাদিকদের বলেন, “উপমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, ‘আপনাদের স্থায়ী করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন কোনোভাবেই আপনাদের বাদ দেবো না। আপনাদের শিগগিরই স্কুলে পাঠানো হবে।’

তাদের শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে উপমন্ত্রী বলেছেন ‘এতোদিন আপনারা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জেনেছেন। এখন আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সুপারিশ এসেছে, সেখানে আপনাদের বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই।’

উপমন্ত্রী কতদিনের মধ্যে এসিটি শিক্ষকদের ব্যাপারে স্থায়ী সিদ্ধান্ত জানাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ‘উপমন্ত্রী সময় দেননি, তবে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কথা বলেছেন।‘

উপমন্ত্রীর আশ্বাসের পর আন্দোলন প্রত্যাহার করছেন কিনা জানতে চাইলে কৌশিক চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে আমরা চার জন বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনাদের জানাবো।’

উল্লেখ্য, দেশের দুর্গম এলাকায় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ এবং শিক্ষার্থীদের ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান ভীতি দূর করতে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ) এর আওতায় দুই হাজার একশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ হাজার দুইশ অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) নিয়োগ করে সরকার।

শিক্ষার্থীদের ২০০৮ সালে চালু হওয়া প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাছাই করে নিয়োগ দেওয়া হয় ২০১৫ সালে। কিন্তু ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে হলে এসব শিক্ষকরা পড়েন চাকরির অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশ এসিটি অ্যসোসিয়েশনের সভাপতি জানান, সর্বশেষ তারা গত ৩ ফেব্রুয়ারিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। গত ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতীকী অনশন করেন শিক্ষকরা। এতেও সরকারের পক্ষে কোনও আশ্বাস না পেয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনশন কর্মসূচি শুরু শুরু করা হয়েছে। বুধবারও (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় অনশন কর্মসূচি করেছেন শিক্ষকরা।

Bootstrap Image Preview