Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অগ্রণী ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

মোঃ রমজান আলী, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৫২ PM
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:২০ PM

bdmorning Image Preview


ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কালীগঞ্জ বাজার শাখা অগ্রণী ব্যাংক এর ব্যাবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণের অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

রাজগাতী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলিম উদ্দিন, কালীগঞ্জ বাবুল উলুম দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম, বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বরুণ পাল, অনুপাল, বিমল পাল, আব্দুল কাইয়ূম মেম্বার, ফজলুল হক মহাজনসহ ৩০/৩৫ জন ব্যবসায়ী ও ব্যাংক গ্রাহক মিলে অগ্রণী ব্যাংক এর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ডিজিএম বরাবর লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যাবপস্থাপক গত বছরের ২৫ জানুয়ারি তারিখে অগ্রণী ব্যাংকের কালীগঞ্জ বাজার শাখায় যোগদান করার পর থেকে ব্যাংকের গ্রাহকদের সাথে অসদাচারণ, উৎকোচের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাপ্রাপ্ত কার্ডধারীদের সাথে সীমাহীন খারাপ আচরণ করে যাচ্ছে। বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী কার্ডধারীদের ভাতা থেকে ঋণের টাকা জোড়পূর্বক কেটে রেখে দিচ্ছেন। এর মধ্যে কাশীনগর গ্রামের পঙ্গু ভাতাপ্রাপ্ত মো. সিদ্দিক মিয়া, ফরিদা কান্দা গ্রামের পঙ্গু মো. দুলাল ভূইয়ার ভাতা আটক রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে রাজগাতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রুকন উদ্দিন ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে দেখা করে প্রতিবন্ধীর ভাতা দেওয়ার সুপারিশ করলে ম্যানেজার তার সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কোন প্রকার সুপারিশ নিয়ে ব্যাংকে আসতে নিষেধ করেন। অপরদিকে ৫নং ওয়ার্ড কাশীনগর গ্রামের মো. ফজলুর রহমান ভূমিহীন হলেও উৎকোচের বিনিময়ে তাকে ব্যাংক থেকে ২৫ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল্লাহ আল মোহাম্মদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনেক বয়স্ক ও বিধবা কার্ডধারীর নামে ব্যাংকের এই শাখায় ঋণ রয়েছে। আমি ঋণ আদায়ের জন্য তাদেরকে চাপ দিয়েছি কিন্তু টাকা কেটে রাখি নাই।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে এ বিষয়ে আমার সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিলো যা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। ঋণ প্রদানের মাধ্যমে উৎকোচ গ্রহণের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

 

Bootstrap Image Preview