কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী জেটিঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল ভেসে গেছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রাণে রক্ষা পেয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ শতাধিক যাত্রী কোনরকম বাঁচতে সক্ষম হয়েছে।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহত যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
লঞ্চটি পানি থেকে উদ্ধার করতে বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও মহেশখালী কোস্ট গার্ডের সদস্যরা যৌথভাবে চেষ্টা চালিয়েছে। তারা সব যাত্রীদেরকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাকের উল্লাহ মালিকানাধীন এমবি সাকিব লঞ্চটি প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৭টায় কক্সবাজার কস্তুরা ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে কুতুবদিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যাত্রীবাহী লঞ্চটি বদরখালী নৌ-অভ্যন্তরীণ জেটিঘাটে নোঙর করে লঞ্চে থাকা নারী-পুরুষদের নিচের কেবিনে বসায়। পরে বদরখালী বাজার থেকে প্রায় ৭০/৮০ বস্তা পিয়াজ ও গোল আলু তুলে লঞ্চের উপরের কেবিনে।
এ অবস্থায় নোঙর তুলে কুতুবদিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার মুহূর্তে কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই লঞ্চটি এক পাশে খাত হয়ে যায়। এ সময় লঞ্চের ভিতরে থাকা শিশু ও নারী-পুরুষ সহ শতাধিক যাত্রী চিৎকার করে পানিতে ঝাঁপ দেয়। তখন ঘাটে নোঙরে থাকা মাছ ধরার নৌ-যান ও জেটি থেকে লোকজন গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে।
অপরদিকে, বহু মালামাল ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে এবং অনেক মালামাল ভেসে গেছে বলেও জানান উপস্থিত লোকজন। খবর পেয়ে লঞ্চটি পানি থেকে উদ্ধার করতে বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ি ও মহেশখালী কোস্ট গার্ডের সদস্যরা যৌথভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।