Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মিয়ানমার সীমান্তে চড়া দামে নারী বিক্রি, ৮-১০ লাখেই কেনা যাচ্ছে কিশোরী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:২৮ PM
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:২৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পাচারের শিকার হচ্ছে মিয়ানমারের হাজার হাজার নারী। প্রধানত সংঘাতকবলিত দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় থানলিন, কাচিন ও শান রাজ্যের নিরীহ নারী ও কিশোরীদের চীনে পাচার করা হচ্ছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দেশটির পতিতালয়গুলোতে। অন্যদিকে সেই অর্থে চীন থেকে মিয়ানমারে স্রোতের মতো ঢুকছে অবৈধ অস্ত্রের চালান।

জানা যায়, পতিতালয়ের পাশাপাশি নারীদের বাধ্য করা হচ্ছে জোরপূর্বক বিয়েতে। কয়েক দশক ধরে এক সন্তান নীতির কারণে দেশটিতে নারীর যে বিশাল ঘাটতি তৈরি হয়েছে তার বলি হচ্ছে এসব নারী ও কিশোরীরা।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধ এসব কারবারের মূল আখড়ায় পরিণত হয়েছে মিয়ানমার ও চীন সীমান্তবর্তী শহর মিউস বা মুসে। চীনে প্রবেশের জন্য শহরটিকে মিয়ানমারের ‘সদর দরজা’ বলা হয়। মূলত এ দরজা দিয়েই চীনের শহরগুলোর সঙ্গে মাদক আর নারী পাচারের রমরমা ব্যবসা গড়ে উঠেছে। অন্তত ১০টি সশস্ত্র গোষ্ঠী শান প্রদেশভুক্ত এ শহরটির সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে।

জানা যায়, মূলত চরম দারিদ্র্য, সংঘাত ও বাস্তুচ্যুতির কারণে সহজেই পাচারের শিকার হয় মিয়ানমারের নারীরা। সম্প্রতি কাচিন, শান ও রাখাইন রাজ্যে ভয়াবহ সহিংসতা ও সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে ঘরবাড়ি ছেড়ে বনে-জঙ্গলে আশ্রয় নেয় কয়েক লাখ বাসিন্দা। খাদ্য, বস্ত্র ও আশ্রয়হীন এসব মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নেয় গোষ্ঠীগুলো।

পাচারের পর সাধারণত উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হয়। বয়স যত কম দাম ততই বেশি। সবচেয়ে কম বয়সী কিশোরীরা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়।

সাধারণত চীনের বয়স্ক, অসুস্থ ও অক্ষম পুরুষরাই খরিদ্দার। গবেষকরা বলছেন, মূলত বাচ্চা জন্ম দেয়ার জন্য তরুণীদের বিয়ে করেন এসব পুরুষ। দুয়েকটা বাচ্চা জন্ম দেয়ার পর স্ত্রীকে ফের অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার ঘটনাও ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, গোষ্ঠীগুলো মূলত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় এসব অপকর্ম করে চলেছে। সেনাবাহিনীর মদদ ও সমর্থন পেয়েই মূলত সন্ত্রাস ও অপরাধের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছে গোষ্ঠীগুলো। যোদ্ধাদের বেতন দিতে মাদক ও নারী পাচারের মতো জঘন্য অপরাধগুলোই করে থাকে তারা।

Bootstrap Image Preview