রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় দিনের সফরে আগামীকাল জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে জার্মানির উদ্দেশে তিনি ঢাকা ছাড়বেন।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী জার্মানির উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে তিনি মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।’
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সিমেন্স কোম্পানির গ্লোবাল প্রেসিডেন্ট ও সিইও এবং বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নকারী জার্মান রিক্রট কোম্পানি ভেরিডোস এর সিইও’র সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সিমেন্স বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে বড় বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি জয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ১৭ থেকে ১৯ তারিখ সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরকালে সেখানকার ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখদুমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার এবং প্রধানমন্ত্রীর এ সফর ওই দেশে বাংলাদেশিদের আরও অধিক কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে অবদান রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’ সফরকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বিনিয়োগ সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারকা সই হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
রাখাইন থেকে নির্যাতিত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশে আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ। এখন অন্যান্য দেশগুলো তাদের আশ্রয় দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিদেশিদের সঙ্গে যে কোনও আলোচনায় রোহিঙ্গা ইসুটি তুলে ধরি। এর সামাধান সহজ নয়, তবে আমাদের প্রচষ্টা অব্যাহত থাকবে।’