Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দক্ষিণা হাওয়ায় মাতিয়ে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৫৬ AM
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৫৮ AM

bdmorning Image Preview


বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব বসন্তের প্রথম দিন আজ। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ফাল্গুন ও চৈত্র দু’মাস বসন্তকাল। বাসন্তী বা হলুদ রঙে নিজেকে রাঙাতে ব্যস্ত নারীরা। এ ঋতুতে শীতের শুষ্কতায় বিবর্ণ প্রকৃতি ফিরে পায় প্রাণ। গাছগুলো ভরে যায় কচি পাতায়। দক্ষিণা হাওয়ায় মাতিয়ে তোলে চারিদিক। ফুলে ফুলে উন্মদ হয়ে ওঠে সব গাছ। কৃষ্ণচূড়া, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, মালতী, মাধবী, বকুল, শিমুল, পলাশসহ নানা জাতের ফুল ফোটে। 

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা/ এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো...।’

বসন্তের আগমনে আমের মুকুলের সৌরভে ম ম করে আকাশ বাতাস। আর এই আগুন লাগা ফাগুনেই গাছে গাছে সুললিত কণ্ঠে প্রিয়াকে ডেকে আকুল হয় কোকিল। পহেলা ফাল্গুনের দিন তরুণীরা চুলে খোপা বেঁধে কেউ বেনী করে ফুলের মালা, ফুল দিয়ে জড়িয়ে ঘুরতে বের হয়। এজন্য দেশের বৃহত্তম ফুলের দোকানগুলোতে জমে ওঠে রমরমা ব্যবসা। গাঁদা, রজনীগন্ধা, বেলী ও গোলাপের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। বসন্তের প্রথম দিনে বাঙালি নারীরা বাসন্তী বা হলুদ রঙের শাড়ি পরে তাজা ফুলের অলংকার ব্যবহার করে বের হয়।

কালের পরিক্রমায় বসন্ত বরণ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব। যুবক-বৃদ্ধ, তরুণ-তরুণী বসন্ত উন্মাদনায় আজকে মেতে উঠবে। শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত বরণে চলবে ধুম আয়োজন। শীত চলে যায় রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীর্ণতা।

বসন্ত উৎসব বা বরণ যেটায় বলি না কেন, এটি মিশে আছে একেবারে আবহমান গ্রাম বাংলার মাটি-মানুষের সঙ্গে। শ্যামল বাংলার গাছ গাছালিতে পত্রপল্লবের নতুন কুড়ি যেন গ্রামীণ মানুষের অন্তরকে আরও শুভ্র করে, করে পবিত্রও।

বসন্তের আগমনে নব উদ্যমে জেগে উঠুক বাঙালি, জেগে উঠুক বাঙালির প্রাণ।

প্রসঙ্গত, রাজধানীতে ১৪০১ বঙ্গাব্দে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদ্যাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে প্রতিবছর জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে। রাজধানীতে এ বছরের বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানমালা আরো ব্যাপকতা লাভ করেছে।

Bootstrap Image Preview