Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আমের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা, চলছে পরিচর্যার কাজ

ইলিয়াস হোসেন, পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:০৭ PM
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:০৭ PM

bdmorning Image Preview


পাটকেলঘাটা অঞ্চলের আম গাছগুলোতে মুকুলে ভরে যেতে শুরু করেছে। নানা ফুলের সঙ্গে সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুলও। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। মৌমাছির দল গুনগুন শব্দে মনের আনন্দে আহরণ করে মধু। মৌমাছির এ গুনগুন সুরও কেড়ে নেয় অনেক প্রকৃতিপ্রেমীর মন। মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস আন্দোলিত করে তুলছে মানুষের মন। এখন থেকেই গাছে মুকুল দেখা দিতে শুরু করেছে। এখন সময়ের ব্যবধানে তা আরো বাড়ছে।

এ বছর গাছে মুকুলের পরিমাণ বেশি। আমচাষী এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং সময়মতো পরিচর্যা হলে চলতি মৌসুমে আমের ভালো ফলন হবে। আর এ কারণেই আশায় বুক বেধে আমচাষিরা শুরু করেছেন পরিচর্যা।

তাদের আশা, চলতি মৌসুমে তারা আম থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। পাটকেলঘাটা থানাসহ উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই রয়েছে আমবাগান। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই আম বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। তবে গড়ে ওঠা নতুন আম বাগানগুলোর প্রায়ই বনেদি জাতের।

বিশেষ করে নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, গোবিন্দ ভোগ, লতা, বোম্বায় লতা, ফজলি, হিমসাগর, আম্রপালি, কাঁচা মিঠা, আশ্বিনা জাতেরই গাছ বেশি হচ্ছে। পাটকেলঘাটার সরুলিয়া এলাকায় আম বাগানের সংখ্যা বেশি।

ওই এলাকার আমচাষী পলাশ খান জানান, এ বছরের আবহাওয়া আমের জন্য অনুকূলে রয়েছে। গত বছরের চেয়ে টানা শীত ও কুয়াশার তীব্রতা এ বছর অনেক কম। গতবারের মতো মৌসুমের শুরুতে শিলাবৃষ্টিও হয়নি। এরই মধ্যে অনেক গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে, ফালগুনের মধ্যে পাটকেলঘাটাসহ উপজেলার আম গাছগুলোতে পর্যাপ্ত মুকুল আসবে। পরিস্থিতি অনূকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান তিনি।

আমচাষী ব্যবসায়ী কুমিরার গফ্ফার ও তালার শামিম হোসেন জানান, কৃষি অফিসারদের পরামর্শে গাছে মুকুল আসার ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই তারা পুরো গাছ সাইপারম্যাক্সিন ও কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করে গাছ ধুয়ে দিয়েছি। এতে গাছে বাস করা হপার বা শোষকজাতীয় পোকাসহ অন্যান্য পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। যদি সঠিক সময়ে হপার বা শোষক পোকা দমন করা না যায় তাহলে আমের ফলন কমে যাবে বলে জানান।

এলাকার আম ক্রেতা আব্দুল লতিফ, নজরুল ইসলাম, হাদিউজ্জামান জানান,  কৃত্রিমভাবে বিশেষ করে ফরমালিন যুক্ত আম মানুষের স্বাদ মিটালেও নানান অসুখ বিসুখে আক্রান্ত হয়। সর্বপরি আশা করা যায়, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।

Bootstrap Image Preview