পঞ্চমবারের মতো উপজেলা নির্বাচনে গোদাগাড়ী উপজেলা ১ম পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হযে যাচ্ছে আগামী ১০ মার্চ। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ছিলো প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার শেষ দিন ছিল। এতে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাত্র একজন মনোনয়ন পত্র জমাদেন।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ার) ছিল মনোননপত্র যাচাই বছাইয়ের দিন। এতে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে রাজশাহী জেলা রিটার্নিং অফিসার প্রার্থীদের যাচাই বাছাই করে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সালমান ফিরোজ ফয়সাল বাদে সকলের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ বদিউজ্জামান (আ.লীগ বিদ্রোহী), জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী এ্যাড. সালাহ উদ্দীন বিশ্বাস, ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গোদাগাড়ী উপজেলা আ.লীগ সভাপতি মোঃ বদিউজ্জমানের প্রার্থীতা রিটার্নিং অফিসার প্রার্থীর বৈধতা ঘোষণা করলে আ.লীগ মনোতিত প্রার্থীর প্রস্তাবকারী পৌর আ.লীগ সভাপতি অয়েজ উদ্দীন বিশ্বাস তাতে আপত্তি জানান।
রিটানিং অফিসার ব্যাখ্যা চাইলে তিনি বলেন, একজন প্রার্থীর ২৫০ জনের সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষর টিপসই লাগে তাতে ৪ জনের টিপসহে গড়মিল আছে বলে যুক্তি উপাস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, আমাদের ম্যানুয়াল অনুযায়ী একজন প্রার্থীর পক্ষ হতে ২৫০ জনের মধ্যে যে কোন ৫ জনের সত্যতা যাচাই বাছাই করি তাতে কোন ত্রুটি ধরা না পরায় বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হল।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন, গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আব্দুুুুল মালেক (স্বতন্ত্র), গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম সরকার (স্বতন্ত্র), উপজেলা আ’লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান এবং জাতীয় পার্টির মোঃ তৌহিদুল ইসলাম।
এ দিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী গোদাগাড়ী উপজেলা মহিলা আ’লীগ সভাপতি সুফিয়া খাতুন মিলি একমাত্র তিনিই মনোনয়ন জমা দেন। তার মনোনয়নটি বৈধ ঘোষণা করা হয়ে। এতে তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হতে চলেছেন।