এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, যে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনো শিশুর ঠিকানা, নাম কিংবা ছবি প্রকাশ করতে পারবে না গণমাধ্যম। গণমাধ্যম এমন কিছু তথ্য দিতে পারবে না যাতে শিশুর পরিচয় প্রকাশ হয়ে যেতে পারে।
আজ মঙ্গলবার শেখ হাসান আরিফ ও রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আইন সচিব, তথ্য সচিব, আইন বিষয়ক প্রতিবেদককে এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করতে বলেছেন যাতে গণমাধ্যমে শিশুর এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করতে না পারে।
গত বছর ৫ নভেম্বর ‘বয় গেটস টেন ইয়ারস ফর কিলিং ক্লাসমেটস’ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ডেইলি স্টার। ওই প্রতিবেদনে এক শিশু অভিযুক্ত উল্লেখ করে তার নাম ও পরিচয় উল্লেখ করা হয়। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক গত নভেম্বরে হাইকোর্ট একটি রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন।
রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তি করে আজ রায় দেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ। ডেইলি স্টারের পক্ষে শুনানি করেন কাজী এরশাদুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
শিশু আইন, ২০১৩ এর ২৮ ধারা অনুযায়ী, শিশু অপরাধীর নাম, ঠিকানা, ছবিসহ তার পরিচিতি সংবাদপত্র, ম্যাগাজিনসহ যেকোনো সংবাদ মাধ্যমে প্রচার-প্রকাশ বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- মর্মে রুল চাওয়া হয়েছিল রিটে।