Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাণীনগরে জমির সেচমূল্য নির্ধারণ, অতিরিক্ত নিলে ব্যবস্থা

সুকুমল কুমার প্রামানিক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:৪৯ PM
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:৫৬ PM

bdmorning Image Preview


নওগাঁর রাণীনগরে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জমিতে পানি সেচের মূল্য সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নির্ধারিত মূল্য তালিকা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে করে আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেলো কৃষকরা। অন্যদিকে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত টাকা নিলে গভীর-অগভীর নলকূপ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। এসব জমিতে গভীর-অগভীর নলকূপ এবং ডিজেল চালিত শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচ দেয়া হচ্ছে।

কিন্তু সরকারিভাবে পানি সেচের মূল্য নির্ধারিত না থাকায় ইচ্ছে মত কৃষকদের নিকট থেকে গভীর-অগভীর নলকূপের মালিকরা টাকা আদায় করছেন। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় এই প্রথম কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে সেচ মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

সেচমূল্য নির্ধারণের আগে প্রতিটি ইউনিয়নে স্থানীয় চেয়ারম্যান, একজন কৃষি উপ-সহকারী, একজন কৃষক প্রতিনিধিসহ ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটির মতামতের ভিত্তিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন এর সভাপতিত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় জালানি, বিদ্যুৎ, ড্রেনম্যান, লাইনম্যান, পাহারাদার, সেচ যন্ত্র পরিচর্জা, মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষণ, পরিচালকের ভাতা ও ইউনিয়ন ভেদে মাটির প্রকৃতি ও পানির ধারণ ক্ষমতাসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ইউনিয়ন ভিত্তিক সর্বোচ্চ পানির সেচ মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

এতে খট্টেশ্বর, কাশিমপুর, গোনা, কালীগ্রাম, একডালা ও মিরাট ইউনিয়নে বিঘা প্রতি এক হাজার চারশত টাকা এবং পারইল ইউনিয়নে এক হাজার দুইশত ও বড়গাছা ইউনিয়নে বিঘা প্রতি এক হাজার পাঁচশত টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া সকল ইউনিয়নে ডিজেল চালিত সেচ যন্ত্রের জন্য বিঘা প্রতি সর্বোচ্চ এক হাজার আটশত টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। অন্যদিকে আমন আবাদে প্রথম সেচ তিনশত ও পরবর্তী সেচের জন্য বিঘা প্রতি দুইশত টাকা নির্ধারণ করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব ও বিএমডিএ এর সহকারী প্রকৌশলী মোঃ তিতুমীর রহমান বলেন, নির্ধারিত সেচ মূল্য তালিকা নোটিশ আকারে প্রতিটি ইউনিয়নে এবং প্রতিটি গভীর-অগভীর নলকূপ ঘরে লিফলেট আকারে লাগানো থাকবে। এ ছাড়াও ব্যাপক প্রচারের জন্য এলাকায় মাইকিং করা হবে। নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত টাকা নিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Bootstrap Image Preview