Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হাওর ‘কাণ্ডে’ ৩৪ জনকে অব্যাহতি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৪:৪১ PM
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৪:৪২ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি, অনিয়ম ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে করা মামলায় ৩৪ জনকে বাদ দিয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুদক থেকে নতুন ছয় জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

চার্জশিট থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩৪ জন হলেন-

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম সরকার, প্রাক্তন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পুর)/শাখা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, মো. বরকত উল্লাহ ভূঁইয়া, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ঠিকাদার খন্দকার শাহিন আহমেদ, মো. জিল্লুর রহমান, এম এ হান্নান, (সুনামগঞ্জ চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির সভাপতি ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক) খায়রুল হুদা চপল, (সুনামগঞ্জ চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির সহ সভাপতি) সজীব রঞ্জন দাস,কামাল হোসেন, কাজি নাছিমুদ্দিন, খন্দকার আলী হায়দার, মো. আকবর আলী, মো. রবিউল আলম, মো. আবুল হোসেন, শিবব্রত বসু, মোজাম্মেল হক মুন, মো. বাচ্চু মিয়া, বিপ্রেশ তালুকদার বাপ্পি, মো. জামিল ইকবাল, চিন্ময় কান্তি দাস, মো. খাইরুজ্জামান, ম. মফিজুল হক, মো. মোখলেছুর রহমান, মো. রেনু মিয়া, মো. শামসুর রহমান, আব্দুল মান্নান, মো. মাহতাব চৌধুরী, লুৎফুল করিম, হাজি মো. কেফায়েতুল্লা, হুমায়ন কবির ও ঠিকাদার মো. ইকবাল মাহমুদ।

২০১৭ সালের ২ জুলাই হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে সুনামগঞ্জ জেলা পাউবোর ১৫ কর্মকর্তা এবং ৪৬ ঠিকাদার ও প্রতিষ্ঠানসহ ৬১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে দুদক।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় ওই মামলাটি মামলা দায়ের করেছিলেন।

মামলা দায়েরের দিনেই আসামিদের মধ্যে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরখাস্তকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফছার উদ্দীন ও মো. বাচ্চু মিয়াকে গ্রেফতার করেছিল তদন্তকারীরা।

মোট ৩৩ জন আসামির মধ্যে ২৭ জন হলেন-

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দফতর) মো. আফছার উদ্দীন, সহকারী প্রকৌশলী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মো. খলিলুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ঢাকা) মো. শহিদুল্লাহ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (নেত্রকোনা) ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ( কক্সবাজার) খন্দকার আলী রেজা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ঢাকা) মো. শাহ আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সাতক্ষীরা) মোহাম্মদ মাহমুদুল করিম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ঢাকা) মো. মোছাদ্দেক ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ঝালকাঠি) সজিব পাল।

অন্যদিকে, ঠিকাদাররা হলেন-

মো. আফজালুর রহমান, পার্থ সারথী পুরকায়স্থ, শেখ মো. মিজানুর রহমান, আবুল মহসীন মাহবুব, নিয়াজ আহমেদ খান, মিলন কান্তি দে, খান মো. ওয়াহিদ রনি, মো. সোয়েব আহমেদ, মো. ইউনুস, মো. আব্দুল কাইয়ুম, মো. আতিকুর রহমান, মো. গোলাম সরোয়ার, মো. নুরুল হক, মো. শাহরিন হক মালিক, মোকসুদ আহমেদ, মো. সাইদুল হক, কাজি হাসিনা আফরোজ ও শেখ আশরাফ উদ্দিন।

এ ছাড়া তদন্তের পর নতুন করে যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন-

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট সার্কেলের সহকারী প্রকৌশলী লিংকন সরকার, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) রঞ্জন কুমার দাস, সহকারী প্রকৌশলী (সুনামগঞ্জ) অনিক সাহা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইমরান হোসেন, নীহার রঞ্জন দাস ও ঠিকাদার মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স (প্রাইভেট) লিমিটেডের পরিচালক (কন্সট্রাকশন) মো. শরিফুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল দুদকের পরিচালক বেলাল হোসেনের নেতৃতে তদন্ত টিম কাজ শুরু করে। এই টিমের সদস্যরা হলেন উপ-পরিচালক আবদুর রহিম, সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি, সহকারী পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ এবং উপ-সহকারী পরিচালক নেয়ামুল কাজী।

Bootstrap Image Preview