শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর মৃত্যুতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়ে ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
জানা যায়,গত ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অরিত্রী নকল করেছে এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ওইদিন স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে দিলীপ অধিকারী শান্তিনগরের বাসায় ফিরে দেখতে পান, অরিত্রী তার রুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।
অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী পল্টন থানায় বাদী হয়ে গত ৪ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর ৫ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয় মামলার ৩ নম্বর আসামি শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে। পরে ৯ ডিসেম্বর জামিন পান তিনি।
উল্লেখ্য ,দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় করা এই মামলায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। এ ধারায় সর্বনিম্ন শাস্তি দশ বছর কারাদণ্ড, সেই সঙ্গে অর্থদণ্ড। তা ছাড়া আসামির বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন করাদণ্ডও হতে পাড়ে ।