ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় বেহাল সড়কে নাজেহাল হয়ে পড়ছে পরীক্ষার্থীরা। এসএসসি পরীক্ষার ৬টি পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে পৌরশহরে অবস্থিত পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে চলাচলে সড়কটি খাল খন্দে ভরে থাকায় পরীক্ষার্থীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা। সড়কের বেহাল অবস্থায় যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন তারা। এ পরীক্ষাকেন্দ্রে বিশটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৯৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন বলে নিশ্চিত করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাধন বসাক।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর ডিগ্রী কলেজ মহাসড়ক মোড় থেকে পৌরশহরের আওতাধীন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কটির বিভিন্ন স্থানে সড়কের কার্পেটিং উঠে বড় বড় খালে খন্দে ভরে গেছে।
এ সড়কে অটোচার্জার পাগলু কিংবা ভ্যান গাড়ীগুলো চরম বিপদজনকভাবে চলাচল করছে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে। সড়কটির মহাসড়ক থেকে সংযোগস্থলের কিছু দূরে খাল খন্দে ভরে পানি আটক হয়ে কাদামাটির সৃষ্টি হয়েছে। তার একটু সামনে কার্পেটিং উঠে খালে ভরে গেছে এবং সড়কের দুই সাইট ভেঙ্গে গেছে।
পরীক্ষাকেন্দ্রের সন্নিকটে সড়কের কার্পেটিং উঠে মাঝখানে উঁচু ও দুই সাইডে খাল হয়ে ঢালু হয়ে গেছে। যেখান দিয়ে একটি মোটরসাইকেলকেও সাবধানে যেতে হয়। আর অটোচার্জার ভ্যানগাড়ীগুলোতে একটু বেকায়দা হলেই পরীক্ষার্থীদের নিয়ে পাল্টি খাওয়ার মত অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কটির অন্তত ৭টি জায়গায় গুরুতর সমস্যা হয়ে রয়েছে। যা সংস্কার করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ এমন সড়কে আমাদের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিতে গেলেও সড়কটি সাময়িক হলেও সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেই প্রশাসনসহ পৌরসভা কতৃপক্ষের।
সোমবার পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাবেদ আলীর মতামত জানতে অফিসে ও ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি।
মেয়র আলমগীর সরকারের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনিও রিসিভ করেন নি।