সন্তানকে হত্যার পর খাটের নিচে লুকিয়ে রেখেছিল মাঈন উদ্দিন

গাজীপুরের স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে হত্যা করেছে তার বাবা। মনিরা খাতুন (৫) নামে ঐ শিশুকে হত্যা করে ঘরের খাটের নীচে লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি)  শ্রীপুরে এ ঘটনা ঘটে।

শ্রীপুর থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালে গাজীপুরের শ্রীপুর থানার গোসিঙ্গা এলাকার গোলাপ হোসেনের মেয়ে নাসরিন আক্তরের সাথে পারিবারিকভাবে কাপাসিয়া থানার চাপাত এলাকার মাঈন উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এ দম্পতি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সালনা এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়।

তাদের সংসারে এক কন্যাসন্তানের (মনিরা খাতুন) জন্ম হয়।পরবর্তীতে নাসরিন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধের এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে নাসরিন তার স্বামীকে ডিভোর্স দেয়।

কিছুদিন পরে,রফিকুল স্ত্রী-সন্তানের টানে স্ত্রীর কাছে ফিরে এসে পুনরায় এক সাথে সংসার শুরু করে।কিন্তু আবারও স্ত্রীর পরকীয়া অব্যহত রয়েছে এমন ধারণা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বাঁধে।

এরই মাঝে নাসরিন তার মায়ের জমি বিক্রির ৯৩ হাজার টাকা পায়। এ টাকা নিয়ে শনিবার রাতে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়।

পরদিন, সকালে স্ত্রী কারখানায় চলে গেলেও অসুস্থতার কথা বলে রফিকুল কারখানার কাজে যায়নি। মধ্যাহ্ন বিরতিতে দুপুরে বাসায় নাসরিন তার শিশু কন্যা ও স্বামীর সাথে একত্রে খাওয়া-দাওয়া করে আবার কারখানায় চলে যায়।পরে বিকেল ৫টায় কারখানা ছুটির পর নাসরিন বাসায় ফিরে মেয়েকে না দেখে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকে। কোথাও না পেয়ে মোবাইল করে স্বামীর কাছে মেয়ের খোঁজ জানতে চায় নাসরিন।

এসময় রফিকুল বলেন, আমরা অনেক দূরে চলে গেছি। আমাদেরকে আর পাবি না। পরে, নাসরিন আক্তার বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে নাসরিনের ঘরের ভিতর খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলের ভিতর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশের এক সদস্য বলেন,আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।